আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বানিয়াচংয়ে বাড়ছে কাঁচা মরিচের ঝাল!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-০৩ ১৭:২৪:৪১

বানিয়াচং প্রতিনিধি :: বানিয়াচংয়ের খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ১২০-১৬০ টাকা। অথচ রমজানের শুরুতেও কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সরবরাহের অপ্রতুলতা, দু’দিন ধরে অতিবৃষ্টিকে কাঁচা মরিচের এই অগ্নিমূল্যের জন্য দায়ী করছেন বানিয়াচংয়ের কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া ইদানিং কাঁচা মরিচের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।  

মাত্র একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম দিগুন বাড়াকে ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে মনে করছেন ভোক্তারা। বানিয়াচংয়ের বড়বাজারে কাঁচা মরিচ ক্রয় করতে করতে আসা জাকারিয়া হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, গত দুয়েকদিন আগেও কাঁচামরিচ কিনেছি ৮০ টাকা দরে। অথচ আজ কিনতে হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। কাঁচা মরিচের দাম আড়ও বাড়বে বলেও ধারণা করছেন তিনি। 

আফরোজ মিয়া নামের এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী জানান, ‘আমাদের কিছু করার নেই। আগে পাইকারী ৩০-৪০ টাকা দরে মরিচ ক্রয় করেছি আমরা। এখন পাইকারী কিনতে হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা দরে। তাছাড়া পরিবহণ খরচ তো আছেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের চৌধুরী বাজারের আড়তদার আওয়াল মিয়া সিলেটভিউকে বলেন, ‘বর্তমানে আমার কাছে মরিচ নাই। দেশের বিভিন্ন স্থানে অতিবৃষ্টিতে পানি জমে মরিচের খেত নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া পরিবহণ সমস্যাও রয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে মরিচ পরিবহণের জন্য সময়মত গাড়িও মিলছে না। এ কারণেই দাম চড়া।’

বড়বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা হাদিস মিয়া বলেন বলেন,  বাজারে জোগানের চেয়ে চাহিদা বেশি থাকায় কাঁচা মরিচের দাম চড়া।

বড়বাজার ও গ্যানিংগঞ্জ বাজারের কাঁচা পণ্যের বিভিন্ন আড়ত ঘুরে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, ‘আমাদের হবিগঞ্জ অঞ্চলে কাঁচামরিচের চাষ হয় না বললেই চলে। পঞ্চগড়, দিনাজপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় মরিচের চাষ বেশি হয়। এসব এলাকার কাঁচা মরিচই আমাদের এলাকার চাহিদার বড় অংশ পূরণ করে। এমনিতেই এখন মরিচের মৌসুম শেষের দিকে। তার ওপর গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে এসব এলাকার মরিচ খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমদানি চাহিদার অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। তাই বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম।’

জুয়েল মিয়া নামের এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে মরিচের খেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। এখন বাজারে যেসব মরিচ আছে তার বেশির এলাকা থেকে থেকে সংগ্রহ করা মরিচ। চাহিদার চেয়ে আমদানি অনেক কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম কমে আসবে।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ০৩ জুন ২০১৯/ জেইউ/ শাদিআচৌ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন