আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মাধবপুরে নেমেছে বন্যার পানি, যোগাযোগ ব্যবস্থায় দুর্ভোগ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১৩ ১১:৩৬:২৯

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: সম্প্রতি অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সোনাই নদীর তীর ভেঙে হবিগঞ্জের মাধবপুরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ২০টি গ্রাম বেশ কয়েকদিন যাবত পানিবন্দি ছিলো। কিন্তু বর্তমানে ওই গ্রামগুলোতে পানি নামলেও ভেঙে পড়েছে গ্রামীণ অবকাঠামো। চলাচলের রাস্তাগুলো ভেঙে পড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষকে। সেই সাথে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে ফসলের ও মৎস খামারের।

এদিকে, সব হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া কৃষকগুলো এখনও পায়নি কোন সরকারি সহযোগিতা। ঘুরে দাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেও সফল হতে পারছেন না অনেকেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুন রাতভর প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সোনাই নদীর আলাবক্স ও কমলানগর অংশে তিনটি ভাঙন দেখা দেয়। ওই ভাঙনগুলো দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করায় উপজেলার কমলাপুর, হরিণখোলা, সিদ্ধরপুর, চৈতন্যপুর, কালিকাপুর, জয়নগর, দেবপুর, নুরুল্লাপুর, মনোহরপুর, সাতপাড়িয়াসহ প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ে।

গ্রামগুলো পানিবন্দী হওয়ায় প্রায় অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানিতে ভেসে যায় প্রায় দুই শতাধিক পুকুরের মাছ। ৫০০ হেক্টর জমির উঠতি ফসল (বিভিন্ন ধরনের সবজি) তলিয়ে যায়। বেশ কয়েকদিন পনিবন্দি থাকার পর এখন পানি নামলেও দিয়ে গেছে সীমাহীন দুর্ভোগ। গ্রামগুলোর অধিকাংশ রাস্তায়ই দেখা দিয়েছে ভাঙন। অনেক গ্রামে যোগাযোগ একমাত্র রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় সমিাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে। বেশ কয়েকটি ছোট ব্রিজ ও কালভার্ট ¯্রােতের ভেগে ভেঙ্গে গেছে। স্কুল-কলেজের রাস্তাঘাট নষ্ট হওয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষাক্ষেত্রে। পায়ে হেটে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে ওইসব গ্রামের জনসাধারণকে।

এ ব্যাপারে চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আপন মিয়া বলেন- ‘এর আগে কখনো পাহাড়ি ঢলে চৌমুহনী এলাকার এমন ক্ষতি হয়নি। প্রতিটি গ্রামের ছোট-বড় রাস্তা বন্যার পানিতে ভেঙ্গে গেছে। রাস্তাগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে। আমরা বরাদ্দ আসার অপেক্ষায় আছি।’

শাহজাহানপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তৌফিকুল আলম চৌধুরী বলেন- ‘আমার ইউনিয়নের শাহপুর, জালোয়াবাদ, নোয়াগাঁও গ্রামের রাস্তাঘাট বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে।’

এদিকে, মাধবপুর-চুনারুঘাট আসনের সাংসদ বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী স্থানীয় প্রশাসনকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলাম বলেন- ‘মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আপাদত ৪ মেট্রিকটন চাল ও ঘর হারাদেরকে দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১শ’ বান্ডিল টিনের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। গ্রামীন ভাঙা রাস্তা বিশেষ টিআর’র মাধ্যমে মেরামতের কাজ চলছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ জুন ২০১৯/কেএস/ডিজেএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন