আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

হবিগঞ্জে আতংক বাড়াচ্ছে কুশিয়ারার পানি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১২ ২০:২৭:৩৪

এসএম আমীর হামজা, নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। তবে খোয়াই নদীর পানি এখনও বিপদসীমার এক মিটার (১শ’ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ইতোমধ্যে কুশিয়ারা তীরের নিম্নাঞ্চল বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতভর ও শুক্রবার সারাদিন ভারি বর্ষণ হওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা পানি কুশিয়ারা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া ওই নদীর পাশ্ববর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ির বাসিন্দারা। এখনও প্রতিনিয়ত নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা যায়, অনেক জায়গায় নদীর তীর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করছেন।

তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার দিগলবাক, পার্কুল, আলীপুর, করিমপুর, ইনাতগঞ্জ, কসবা, নতুন কসবা, কাতিয়া, ফেসি, আটগর, মাধবপুর, কারনিছড়, জলালপুর, সৈয়দপুর, ফাইলগাঁও, পুরান আলাকন্দিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এছাড়া বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী, সাওদেশ্বরী, ধীতপুর ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর, বদলপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। রাতে বৃষ্টি হলে ওইসব এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা।

এদিকে, খোয়াই নদীর পানি এখনও বিপদসীমার এক মিটার (১শ’ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। খোয়াই নদীর পানি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাতে ভারতের আসাম-ত্রিপুরা রাজ্যে বৃষ্টি হলে খোয়াই নদী থেকে পানি প্রবাহিত হয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা করছেন তাঁরা।

তবে এখন পর্যন্ত মাধবপুরের সুনাই নদীর পানি বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানেও ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহিদুল ইসলাম বলেন- ‘কুশিয়ারা নদীর দূর্বল অংশগুলোতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা মেরামত কাজ করছেন। এছাড়া খোয়াই নদীতে পানি বাড়লেও আপাতত আশঙ্কার কিছু নেই। কারণ নদীর বাঁধের প্রত্যেকটি দূর্বল ও গতবছরের ক্ষতিগ্রস্থ অংশগুলো মেরামত করা হয়েছে।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ জুলাই ২০১৯/আহা/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন