আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

সকালে মক্তবে আর রাতে ভিক্ষাকরে রাইমা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-২৩ ১০:১০:৪৮

এস এম আমীর হামজা, নবীগঞ্জ  :: মেয়েটির নাম রাইমা, ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে। তার কোলে ২ বছর বয়সী শিশু ভাই নাম জুনাঈদ। এই দুই কোমলমতি শিশুর পিতার নাম আরজু মিয়া, মা রহিমা বেগম। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কইট্টাদি তাদের গ্রামের বাড়ি। ঘুম থেকে উঠে পবিত্র কোরআন শিক্ষা নিতে রাইমা যায় মসজিদে দিন যায় স্কুলে এদিকে বাবা বিয়ে করে চলে গেছেন অন্যত্র, মা করেন ভাঙ্গারির কাজ। কথা গুলো বলেছে ছোট এই রাইমা।


বর্তমানে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে শেরপুর একটি ভাঙ্গারির দোকানে তাদের বসবাস।  শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে রাত ৮টায় এ প্রতিনিধির সাথে দেখা হয়। এই কোমলমতি শিশু মেয়েটি ২ বছর বয়সী ভাইকে কোলে নিয়ে রাস্তা রাস্তায় ঘুরছে কেন জানতে চাইলে রাইমা জানায়, অভাবের সংসার বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেছেন বাবা, আর মা ভাঙ্গারির কাজ করেন। আমি সারাদিন স্কুলে থাকি। এতে করে আমাদের দুভেলা ভাত খেতে ও পড়ালেখা করতে সাধ্যের বাহিরে চলে যায়।

খুবই কষ্ট করে আমাদের জীবন চলছে। এজন্য দিন শেষে স্কুল থেকে এসে ছোট ভাইকে নিয়ে ভিক্ষা করতে সন্ধার পর এখানে চলে আসি। মানুষের কাছে ১০/৫ টাকা চাই। অনেকে দেয় আবার অনেকে গালি দিয়ে বিদায় করে। রাতে ভিক্ষা করছো ভয় লাগে কি না জানতে চাইলে কোমলমতি শিশুটি বলে রাস্তার পাশ দিয়ে যখন যাই শরীর কেপে উঠে। বড়,বড় গাড়ি আর অপরিচিত মানুষ এসব দেখে অনেক সময় কাঁন্না ও করি। মেয়েটি আরো জানায়, সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই মসজিদে যায় পবিত্র কোরআন শিক্ষা নিতে এবং পড়ে স্কুলে।

এসব শিশুদের ব্যাপারে  সুশীল সমাজের লোকজন মনে করেন, এসব অবহেলিত শিশু গুলোর দায় আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না। আমাদের প্রত্যেকের অবস্থান থেকে দায়িত্ব নিতে হবে না হলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম ধ্বংসের দিকে দাবিত হবে। রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি থাকতে হবে বলে মনে করেন তারা।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩ আগস্ট ২০১৯/মিআচ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন