আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

তরুণদের হতে হবে মেধাবী ও কঠোর পরিশ্রমী: অধ্যাপক ড. শাকিল

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-১২ ০১:০২:৩৫

সিলেট :: ব্যাপক জনসংখ্যা ও সীমিত সম্পদের দেশে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে তরুণদের হতে হবে মেধাবী ও কঠোর পরিশ্রমী। বিশ্বায়ন ও তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হলো তরুণ সমাজের জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা। তরুণদের জীবনের সকল ক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখতে হবে। আর এক্ষেত্রে ট্যালেন্ট হান্টের মতো প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন তরুণদের মেধার উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বাহুবল উপজেলার বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে পড়ুয়াদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব বাহুবল (ইউসাব) এর ট্যালেন্ট হান্ট-২০১৯ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা কালে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল এ কথা বলেন।

ইউসাবের সভাপতি মো. তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় হবিগঞ্জের কৃতিসন্তান ও যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ স্কলার অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল আরো বলেন, হাওর, পাহাড়, টিলা, বন, চা-বাগানসহ ফলমূল ও রাবার চাষের জন্য বিখ্যাত গ্যাস প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর গ্রিন পর্যটন এলাকা বাহুবলে সাম্প্রতিক কালে শুরু হয়েছে শিল্পায়ন। সুতরাং বাহুবলকে আর অবহেলিত বলা চলবে না। তবে যদি তরুণ ও যুব সমাজের মেধা ও প্রচেষ্ঠার সঠিক ব্যবহার না করা হয় তাহলে বাহুবল শুধু অবহেলিত না; উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে আরো অনগ্রসর হবে।

সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহুবল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রব শাহিন, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, শাবিপ্রবি’র প্রভাষক নোমান বখত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউসাব ট্যালেন্ট হান্ট-২০১৯ এর প্রধান সমন্বয়ক ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাবিপ্রবি’র রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শাহপরান হলের সহকারী প্রভোস্ট মো. মাসুম তালুকদার।

উল্লেখ্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সমগ্র উপজেলা থেকে করা ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে চুড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। চুড়ান্ত পর্বে সারাদিন ব্যাপি কয়েকটি ধাপে স্থানীয়,আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়। পুরো পর্বটি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। অত্যন্ত সুশৃংখল ও অভিনব পদ্ধতিতে পরিচালিত প্রশ্নবানে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন প্রতিযোগীই মেধার স্বাক্ষর রাখেন। আর এ তীব্র প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন হয় সানরাইজ প্রি-ক্যাডেট ও রানার আপ হয় দ্যা হোপ ইন্টারন্যাশনাল। চ্যাম্পিয়নদলকে ১০ হাজার টাকা, রানার আপ দলকে ৫ হাজার টাকাসহ ক্রেস্ট, মেডেল ও সকল প্রতিযোগীদের সনদপত্র প্রধান ও বিশেষ অতিথিরা তুলে দেন।

প্রধান সমন্বয়ক ও ইউসাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাবিপ্রবি’র সহকারী অধ্যাপক মাসুম তালুকদার জানান আগামী বছর এ প্রতিযোগিতায় হবিগঞ্জ জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে দেয়া হবে যথাক্রমে ১ লক্ষ টাকা ও ৫০ হাজার টাকাসহ ক্রেস্ট, মেডেল ও সনদপত্র।

অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জ বিতর্ক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য এডভোকেট সুলতান মাহমুদ ইউসাবকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ অক্টোবর ২০১৯/প্রেবি/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন