আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বানিয়াচংয়ে উচ্ছেদ অভিযানে দিশেহারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-১৬ ২০:২৬:৩৭

বানিয়াচং প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের বড়বাজারের করিম উল্লাহ্‌ রোড থেকে সাবরেজিস্ট্রার অফিসের সীমানা প্রাচীর ঘেষে প্রায় ৩০ টি ক্ষুদ্র কাঁচামাল, মোরগ, ডিম, চা, শুটকী, পান ব্যবসা করে তাঁদের পরিবারের ভরণপোষণ করতেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। জায়গাটি বড়বাজার বাইপাস সড়কের কাছে হলেও রাস্তা থেকে প্রায় ৫ ফুট দূরে বসতেন ব্যবসায়ীরা।

কিন্তুু মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তহসিলদার মুজিবুর রহমান মৌখিকভাবে ওইসকল ব্যবসায়ীদের জায়গা খালি করে দিতে বলেন। জীবন জীবিকা নির্ভরশীল একমাত্র অবলম্বন সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা পেয়ে তারা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পরিবার পরিজনের ভরণপোষণের একমাত্র অবলম্বন বাজারের ভিতরে এসব ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ হতাশার সৃষ্টি করেছে। বুধবার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে তাঁদের দীর্ঘদিনের ব্যবসাস্থল খালি করে দেন। এসময় অনেককে কাঁদতেও দেখা যায়। 

কান্নাজড়িত কণ্ঠে কাঁচামাল ব্যবসায়ী রায়হান মিয়া সিলেটভিউকে বলেন, তাঁর ৬ মেয়ে। এক মেয়ে মাস্টার্স পাশ করেছে। এখনও চাকরির ব্যবস্থা হয়নি। আরেক মেয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। অপর মেয়ে পড়ছে একাদশ শ্রেণিতে। তাছাড়া অন্য সন্তানরাও স্কুলে বিভিন্ন শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে তাঁর। তিনি জানান, কাঁচামাল বিক্রি করে তার পরিবারের অন্ন ও সন্তানদের লেখাপড়ার যোগান দিতেন। এখন তিনি দিশেহারা। 

পুরাতন চা ব্যবসায়ী আলী মিয়া জানান, এই বাজারকে কেন্দ্র করে চা বিক্রি করে তাঁর পরিবারের ১২ জন সদস্যদের ভরণপোষণ করতেন। এখন ব্যবসা না থাকায় পরিবারের সদস্যদের অন্ন যোগানোর কোন পন্থা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।

জানা যায়, এরকম আরো ২০-২৫ জন ব্যবসায়ী এখান থেকে আয়ের টাকা দিয়ে সংসার চালাতেন। তাঁরা বাজার ইজারাদারদের দৈনিক হাসিল প্রদান করে ওই স্থানে ব্যবসা করতেন।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামুন খন্দকার সিলেটভিউকে জানান, এখানে অবৈধভাবে ব্যবসা করতেন ব্যবসায়ীরা। যেখানে অবৈধ স্থাপনা আছে সেখানেই উচ্ছেদ অভিযান চলবে। ব্যবসায়ীদের নির্ধারিত কাঁচামাল বাজারে ব্যবসা করার পরামর্শ দেন তিনি।    

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ অক্টোবর ২০১৯/জেইউ/পিডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন