আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

নবীগঞ্জে প্রভাব খাটিয়ে ৩০ বছর যাবৎ সরকারী পুকুর দখলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-২০ ২১:৪৯:৫৬

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জে সরকারী পুকুর দখল করে মাছ চাষ করে আসছেন সাবেক এক ইউ.পি চেয়ারম্যান। আর এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। প্রায় ত্রিশ বছরের অধিক সময় যাবৎ ক্ষমতার দাপট কাটিয়ে উপজেলার ২নং বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের ফার্ম বাজার নামক স্থানে অবস্থিত পুকুরটি দখল করে মাছ চাষ ও মাটি বিক্রয়ের মাধ্যমে কোটি টাকা আয় করেছেন উক্ত ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মেহের আলী মালদার। যার ফলে প্রায় ২০/২৫ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।

জানা যায়, বিগত প্রায় ৬ মাস পূর্বে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উক্ত ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ছমির উদ্দিনের পুত্র মোঃ ইসলাম উদ্দিন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আশিক মিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত সত্যতা পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেন চেয়ারম্যান।  এমন ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সমালোচনার ঝড় বইছে ইউনিয়নের সর্বত্র।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই ইউনিয়নে অবস্থিত ফার্ম বাজারের পার্শ্বে সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত কামড়াখাইড় মৌজার ১০০০ দাগের ১ একর ৫০ শতাংশ ভুমি (মজাপুকুর) বিগত ১৯৮৮ সন থেকে দখল করে মাছ চাষ ও মাটি বিক্রি করে সরকার বাহাদুরের প্রায় ২০/ ২৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব ক্ষতি সাধন করছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাফিজের পুত্র মোঃ মেহের আলী মালদার।

এরই প্রেক্ষিতে বিষয়টি যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন দিতে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আশিক মিয়ার কাছে দায়িত্ব দেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকতা তৌহিদ বিন হাসান। চেয়ারম্যান অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পেয়ে ৩০ বছরে সরকারী সম্পত্তি (মজাপুকুর) দখল করে সরকারের ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি এবং মাটি বিক্রি করে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি সাধিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দিয়েছেন।

জানা যায়, ওই প্রতিবেদন দেয়ার পর গত শুক্রবার ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতের আঁধারে সাবেক চেয়ারম্যান মেহের আলী মালদারের নেতৃত্বে ওই পুকুর থেকে মাছ ধরে পিকআপ ভর্তি করে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেহের আলী মালদার জানান, দীর্ঘদিন যাবত এলাকার একটি দল তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা বিভিন্নভাবে তার মানহানী ও ক্ষতি করতে ব্যস্ত। কিন্তু কোন উপায় না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হানান জানান, অভিযোগ দেয়ার পর স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। এরই আলোকে চেয়ারম্যান সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দিয়েছেন। সরকারের ভুমিতে মাছ চাষ করে রাজস্ব ক্ষতি সাধন কারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ অক্টোবর ২০১৯/হামজা/জেএসি


শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন