আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং
সিলেটভিউ ডেস্ক :: রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বর পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্য শাহ মো. আবদুল কুদ্দুসকে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় তার স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৪ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম ইলিয়াস মিয়ার আদালতে মামলাটি করেন আবদুল কুদ্দুসের মা সৈয়দা হেলেনা খাতুন। মামলার আসামিরা হলেন- আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী সৈয়দা হাবিবুন্নাহার (নাহিন) ও শাশুড়ি রুনিয়া বেগম।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত ২৩ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর মিরপুর পুলিশ লাইন্সে আবদুল কুদ্দুস নিজের রাইফেল দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ভোর সোয়া ৫টার দিকে তিনি অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র নিয়ে ডিউটির জন্য বের হন। পরে পুলিশ লাইন্সের মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। আবদুল কুদ্দুস হবিগঞ্জের রসুলপুরের মৃত শাহ মো. আবদুল ওয়াহাবের ছেলে।
আত্মহত্যার আগে ওই পুলিশ সদস্য ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করব না। আমার ভেতরের যন্ত্রণাগুলো বড় হয়ে গেছে, আমি আর সহ্য করতে পারছি না। প্রাণটা পালাই পালাই করছে। তবে অবিবাহিতদের প্রতি আমার আকুল আবেদন আপনারা পাত্রী পছন্দ করার আগে পাত্রীর মা ভালো কি না তা আগে খবর নেবেন। কারণ পাত্রীর মা ভালো না হলে পাত্রী কখনই ভালো হবে না। ফলে আপনার সংসারটা হবে দোজখের মতো। সুতরাং সব সম্মানিত অভিভাবকের প্রতি আমার শেষ অনুরোধ, বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবেন। আল্লাহ হাফেজ।’
সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০/জিএসি