আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে দেশব্যাপী অঘোষিত ‘লকডাউন’ চলছে। যার ফলে সম্পূর্ণ স্তবির হয়ে পড়েছে মানুষের কর্ম ব্যস্ততা। দেশব্যাপী দেখা দিয়েছে তীব্র সংঙ্কট। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়িরা। সংসার চালানোর চিন্তার চেয়েও কপালে অধিক চিন্তার ভাজ পড়েছে দোকান ভাড়া নিয়ে। এসব ব্যবসায়িদের কথা চিন্তা করে এবার দুই মাসের দোকান ভাড়া মওকুফ করলেন মাধবপুরের এক ভাড়াটিয়া।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হাজী সিদ্দীক মার্কেটের সম্পূর্ণ ভাড়া দুই মাসের জন্য মওকুফ করে দিয়েছেন মার্কেটের মালিক চার সহোদর সমাজসেবক হাবিবুর রহমান মানিক, ফিরোজ, হাফিজুর রহমান ও মশিউর রহমান মুর্শেদ।
ব্যবসায়িদের কাছ থেকে জানা যায়- হাজী সিদ্দীক মার্কেটে ১২টি দোকান ঘর রয়েছে। দোকানগুলো থেকে মালিকপক্ষ প্রতি মাসে ভাড়া পায় ৪৮ হাজার টাকা। ব্যবসায়িদের লোকসানের কথা চিন্তা করে শুক্রবার তিনি সবগুলো দোকানের ভাড়া দুই মাসের জন্য মওকুফ ঘোষণা করেন। দুই মাসে ওই মার্কেটের ভাড়া আসে ৯৬ হাজার টাকা। দোকান ভাড়া মওকুফের ঘোষণায় খুশি ব্যবসায়িরাও।
এ ব্যাপারে ওই মার্কেটের ব্যবসায়ি মো. এরশাদ আলী বলেন- ‘করোনাভাইরাসের কারণে দোকান বন্ধ রয়েছে। যার ফলে আমাদের বিরাট অংঙ্কের টাকা লোকসান গুণতে হবে। আর কতদিন এ অবস্থা থাকবে সেটাও আমাদের জানা নেই। এ অবস্থায় দোকানের ভাড়া নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু মার্কেটের মালিক দুই মাসের ভাড়া মওকুফের ঘোষণা দেয়ায় আমরা অনেকটা স্বস্থিতে আছি। আমি আশা করব দেশের প্রতিটি মার্কেটের মালিক যেন এভাবে ব্যবসায়িদের পাশে দাড়ান।’
হাজী সিদ্দীক মার্কেটের মালিক সমাজসেবক হাবিবুর রহমান মানিক বলেন- ‘মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে হলে আমাদেরকে একে অপরের পাশে দাড়াতে হবে। আমি দুই মাসের ভাড়া না নিলে তেমন কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু দোকান-পাঠ বন্ধ থাকার কারণে ভাড়া নিলে ব্যবসায়িদের অনেক সমস্যা হবে। সেই কথা মাথায় রেখে আমি দুই মাসের ভাড়া নেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি বলেন- ‘এই মহামারি মোকাবেলায় সকল মার্কেটের মালিককে এভাবে ভিাড়াটিয়াদের পাশে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যতায় আমাদের সকলেরই অনেক ক্ষতি হবে।’
উল্লেখ্য- হাবিবুর রহমান মানিক পশ্চিম মাধবপুর ৩নং ওয়ার্ডের মরহুম সিদ্দীক কমিশনারের ছেলে। ইতোমধ্যে তিনি ৮৭৬টি নিম্ন আয়ের পরিবারের দোয়ারে দোয়ারে চাল, ডাল, তৈলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিয়েছেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩ এপ্রিল ২০২০/কেএস/ডিজেএস