আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং
জসিম উদ্দিন, বানিয়াচং :: প্রকৃতিতে মাসখানে আগে বিদায় নিয়েছে বর্ষাকাল। ছয় ঋতুর এই বাংলাদেশে এখন বিরাজ করছে ঋতুর রানী শরৎকাল। আর তাই তো প্রকৃতিও সেজেছে অপরূপ সাজে। গ্রামের হাওর, নদী-নালা-খাল-বিলে এখন স্বচ্ছ পানি খেলা করছে। সেই পানিতে ফুটেছে পদ্মফুল, হাসছে প্রকৃতি। জলাশয়গুলোতে টলটলে স্বচ্ছ পানির উপরিভাগে ভাসছে পদ্মপাতা আর এর উপরে পাপড়ি মেলে ছড়িয়ে আছে দৃষ্টিনন্দন লাল আর সাদা পদ্মফুল।
বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচংয়ের হাওর-বাওরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে আছে এখন পদ্ম আর পদ্ম। পদ্মপাতার ফাঁকে মাঝে মাঝে পানকৌড়ি গলা উঁচু করে এদিকওদিক তাকিয়ে আবারও পানির নিচে ডুব দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য সত্যিই চমৎকার কিংবা পদ্মপাতার উপরে ধীর পায়ে হেঁটে চলা সাদা বকের চুপিচুপি মাছ শিকারের দৃশ্যটি খুবই মনোমুগ্ধকর। গোলাপী আর সাদা রঙয়ের পদ্মফুল দেখে যে কারও মন জুড়িয়ে যাবে। হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পদ্মপাতার সমাহার দেখে মনে হবে প্রকৃতি যেন আপন হাতে বিছিয়ে রেখেছে পদ্মপাতার বিছানা! যদিও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পদ্মফুল কিছুটা কম ফুটেছে তারপরও হাওরের সৌন্দর্যে ব্যাঘাত ঘটেনি মোটেও।
হাওরে জলে ভাসা পদ্মের এমন রুপ দেখে আকৃষ্ট হন পর্যটকরাও। পরিবারের সদস্য অথবা প্রিয়জনকে নিয়ে অনেকেই বেড়াতে যান স্বচ্ছ জলে ভাসা সেই পদ্মের অপরূপ রুপ দেখতে। শরতের নান্দনিক সৌন্দর্যকে বৈশিষ্ট মন্ডিত করে তুলেছে নয়নাভিরাম জলে ভাসা পদ্ম। শরতে গ্রাম-বাংলার হাওর বাওরে এমন অপরূপ সৌন্দর্য সহজেই মাতাল করে তোলে প্রকৃতিপ্রেমীদের।
নান্দনিক এই জলে ভাসা পদ্ম আমাদের স্বর্গীয় অনুভূতিতে নাড়া দেয় খুব সহজেই। তাছাড়া শরতের নীল আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা আর খাল-বিল কিংবা নদীপাড়ে সাদা কাশবন, সকালের কোমল রোদ, পূর্ণিমা রাতের রূপালী জোছনায় হৃদয়ে লাগে দোলা।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১ অক্টোবর ২০২০/জেইউ/ডিজেএস