আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচন: যে কারণে নৌকার পরাজয়

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০১-১৭ ১৯:১৯:৫৮

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলের পরাজয় ও বিএনপির প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরী জয়ী হওয়ায় অনেকে বিস্মিত হয়েছেন।

নবীগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপির দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা একথা বলেন।

তবে বেশির ভাগ ভোটারের অভিমত, অপেক্ষাকৃত তরুন নেতৃত্বের হাতে নৌকা তুলে দেওয়ায় দলীয় অনেক নেতাকর্মীর অসহযোগীতা ও কালো টাকার দৌরত্বের কারনে নৌকা পরাজয়ের কারণ।

আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ছাবির আহমেদ চৌধুরী রানিং মেয়র ও দীর্ঘদিন মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। ছাবির আহমেদের বাড়ি চরগাঁত্ত হওয়ায় আঞ্চলিকতার প্রভাবে সেই এলাকার ভোট এককভাবে পাওয়ায় ভোটের ব্যবধান জয়ী হয়।

এব্যপারে ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সল তালুকদার বলেন, নহরপুরসহ কয়েকটি সেন্টারে ভোটের ফলাফল পরির্বতন করে আমাদের পরাজিত করা হয়েছে। আমরা পূর্ন নির্বাচন দাবি করছি।

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোজাহিদ আহমেদ বলেন বলেন, প্রশাসনিক অসহযোগীতায় ও কলো টাকার দৌরাত্ম কারণে আমাদের প্রার্থী জয়ী হতে পারেনি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী প্রশাসনের অসহযোগীর কারণে আমাদের কয়েকটি সেন্টারের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। যে কারণে আমরা কাঙ্খিত ফলাফল পাইনি। আমরা পূর্ণ নির্বাচন চাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল গতকাল ফলাফল ঘোষণার পর পর ফলাফল প্রত্যাখান করে রাত ৯.৩০ মিনিটে নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে কয়েকটি সেন্টারে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করা হয়েছে। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব ছিল। সংখ্যালঘুদের ভয় দেখিয়ে অনেক ভোট নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কলো টাকার দৌরাত্ম ঠেকাতে গিয়ে আমি প্রতিপক্ষের হামলার শিকার পর্যন্ত হয়েছি। নির্বাচন কমিশনে এ ব্যপারে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি সেন্টারে পূর্ণ নির্বাচনের দাবি জানান।

এ ব্যপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদিকুল ইসলাম বলেন, এসব অভিযোগ ঠিক নয়। নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভোটার বলেন, বিএনপি প্রার্থীর নিজ আসনে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতৃবৃন্দের বাড়ী হওয়া সত্বেও আওয়ামী লীগের সেখানে কম ভোট পেয়েছে।

যেখানে বিএনপির প্রার্থী নিজের ভোটকেন্দ্র চরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধান পেয়েছে মাত্র ১ হাজার ১১৯ ভোট সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পেয়েছে ১৯৯ ভোট।

অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সেন্টার জে.কে হাইস্কুলে সেন্টারে ৯৩৬ সেখানে বিএনপির প্রার্থী পেয়েছেন ৩৫৬ ভোট। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পৈত্রিক বাড়ি কনখারী পাড়া সংলগ্ন নহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেন্টারে তিনি পেয়েছে ৬৬৯ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী পেয়েছেন ৭৫৮ ভোট। তবে ঐ সেন্টারে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করা হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অভিযোগ করেছেন। এছাড়া নৌকার ভোট কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ৩টি এলাকার ভোটকেন্দ্রে ভোটের ব্যবধান কম থাকায় নৌকার এই পরাজয়।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/এসবিডি/এসডি-২২

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন