আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

হবিগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণ করিয়ে কথিত বোনের মামলা, আদালতে স্বীকারোক্তি

রহস্য উদঘাটন : জড়িত জনপ্রতিনিধি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০১-২৬ ১১:০৯:৪১

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:  হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউরা থেকে কিশোরী গণধর্ষণ মামলার আসামী আব্দুল হামিদকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে হাজির করলে সে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এছাড়াও সে ধর্ষণের ঘটনার সাথে একজন জনপ্রতিনিধিও জড়িত রয়েছেন বলে আদালতকে জানায়। আব্দুল হামিদ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউরা গ্রামের  আব্দুস ছাত্তারের ছেলে। গত রবিবার রাতে পুলিশ তাকে তেলিয়াখাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এরপর সোমবার সে দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।

হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই নাজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণ মামলার আসামী আব্দুল হামিদ ধর্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল বলে আদালতকে জানিয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের ঘটনায় একজন জনপ্রতিনিধিও জড়িত রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে জনপ্রতিনিধির নাম জানতে অনিহা প্রকাশ করেন তিনি।

জানা যায়, প্রায় ১৬ মাস আগে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর রাতে চুনারুঘাট থেকে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে রাজিউরা নিয়ে যায় কামাল মিয়া ও সেফা আক্তার মিতু নামে দুইজন। পরে ওই কিশোরীকে তারা কয়েকজন ব্যক্তির হাতে তুলে দেয়। ওইদিন রাতে রাজিউড়া রবি টাওয়ারের ভিতরে নিয়ে কিশোীকে গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনার পরদিন সেফা আক্তার মিতু ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে নিজের বোন দাবি করে কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলাটি দীর্ঘদিন তদন্ত করে মূল রহস্য জানতে পারে।

পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে সেফা আক্তার মিতু ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বোন নয়, সে ওই কিশোরীকে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী। পরে মিতুকে আসামী করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল সদর থানার ওসি তদন্ত দৌস মোহাম্মদ বাদি হয়ে অপর একটি মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


সিলেট ভিউ ২৪ ডটকম/ কাজল/ পিটি-৩

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন