সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৪-২৭ ২২:২৭:১৮
শুয়াইব আহমদ, কাতার প্রতিনিধি :: মুসলমানদের ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির মাস রমজান। রমজান উপলক্ষে কাতারের বড় বড় শপিং মলে থেকে শুরু করে ছোট দোকানে চলছে ছাড়ের হিড়িক। ক্রেতাদের কে কত বেশি ডিসকাউন্ট দিতে পারে সে নিয়ে রীতিমতো চলছে প্রতিযোগিতা। রোজাদারদের অর্থ কষ্ট লাগব ও অধিক সোয়াবের আশায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে এই ছাড় দেয়া হচ্ছে।
কাতারের লুলু হাইপার মার্কেট, সাফারি মার্কেট, আল মিরা, ক্যারিফোরসহ অনেক শপিংমল ও সুপার মার্কেট শুধু ছাড় ঘোষণা করেই বসে নেই। তাদের এই ডিসকাউন্টের খবর ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে পত্রিকা ও সোস্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন, কোন পণ্যে কত ছাড় এটা লিখে বুকলেট ছাপিয়ে বাসার দরজায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
অথচ, বাংলাদেশে রমজান আসলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়ে যায়। দুর্ভোগ পোহাতে হয় সর্বক্ষেত্রে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায় সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ পোষাকের দাম যা অন্য মুসলিম দেশগুলোর তুলনায় ভিন্ন।
রোজার এখনো কিছুদিন বাকি থাকলেও ঘোষিত মূল্য ছাড়ে প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সাথে শপিং মলে ভীড় জমাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
আর এই রমজানকে কেন্দ্র করে কাতারের রাস্তাঘাট আর শপিংমলগুলোতে করা হচ্ছে বিশেষ আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মার্কেটগুলোতে শোভা পাচ্ছে ‘রমাদান কারিম’ লেখা সম্বলিত রং বেরংয়ের প্লেকার্ড। রোজাদারদের ইফতার করাতে কিছু কিছু মসজিদের পাশে স্থাপন করা হচ্ছে বিশেষ তাবু।
অন্যদিকে, রমজানে শুধু পণ্যের মূল্য ছাড়ই কাতার সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকেও দেয়া হয় বিশেষ সুবিধা। রাতে কাজ এবং অন্যান্য সময়ের তুলনায় কর্মঘণ্টা কম হলেও বেতন-বোনাসে কোন হেরফের হয় না।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুসলমানের জন্য পবিত্র মাহে রমজান বয়ে আনে রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা। নিজেদের আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এই একমাস ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা । তবে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভিন্ন, রমজান মাস এলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। ইবাদত বন্দেগীর পাশাপাশি চালান মানুষ ঠকানোর রমরমা ব্যবসা-বাণিজ্য।