Sylhet View 24 PRINT

আহাদ হত্যাকান্ডের প্রকৃত দোসীর শাস্তি দাবী করে হোসেন মোরাদ বলেন ষড়যন্ত্রমূলখভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১৫ ০৮:৫০:২৩

কুয়েত প্রতিনিধি : গতকাল ১৩ জুন রাত ১০ টায় কুয়েত সিটিস্হ একটি হোটেলে হোসেন মোরাদ চৌধুরী উনার নাম হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত করায় সংবাদ সম্মেলন করেন ।
কুয়েত আওয়ামীলীগের একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন কুয়েত আওয়ামীলীগের একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ওসমানী স্মৃতি পরিষদ কুয়েত শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বিয়ানীবাজার শাখার সভাপতি হোসেন মুরাদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন তিনি এই দাবি করেন।

গত ৩১ আগস্ট সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে দোষ্কৃতিকারীরা কুপিয়ে হত্যা করে আব্দুল আহাদকে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রাছনা বেগম বাদী হয়ে ২ সেপ্টেম্বর ৩ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
বিবৃতিতে হোসেন মুরাদ চৌধুরী বলেন, ‘আহাদ হত্যাকাণ্ডে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্য আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, উনারা এজাহারে উল্লেখ   করেছেন  আমি বিকালে পরিকল্পনা মিটিং করেছি , কিন্তু আমি দুপুর ১২ টায় ওসমানী বিমান বন্দর থেকে ইমিগ্রেশন শেষ করে কুয়েতের পথে রওয়ানা হই । তাহলে কি করে বিকালে মিটিংয়ে ছিলাম তাই প্রমান করে আমাকে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে জডানো হয়েছে ।
আব্দুল আহাদের হত্যার সময় কললিষ্ট তদন্ত করলে প্রকৃত খুনিরা বাহির হয়ে আসবে। এবং খুনিরা ধরা পরার পর কেউই যদি আমার নাম বলে শুধুমাত্র বাদি রাছনা বেগম যে আমার নাম বলেছেন তাও উনাকে জিজ্ঞেস করলেই তো উনি বলে দিবেন কুয়েত থেকে আ হ জুবেদ( যার প্রকৃত নাম লোবেদ আলি ও শামিম আহমেদ এই দুইজনই মৌলভীবাজারের) সে বলে শিখিয়ে দিয়েছে আমার নাম বলার জন্য তা আব্দুল আহাদের স্ত্রী রাছনা বেগম সাংবাদিক ও কুয়েত লেখক ফোরাম এর সভাপতি মাসুদ চৌধুরী মোবাইলে কল দিয়ে শান্তনা জানাতে গেলে উনার কাছেও বলেছেন । উল্লেখ্য লেখক ফোরাম কুয়েত এর সাধারন সম্পাদক ছিলেন মরহুম আব্দুল আহাদ ।কিন্তু চার্জশিটে আমার নাম অর্ন্তভূক্ত করায় আমি হতভম্ব হয়েছি
সম্প্রতি ছয়জনকে আসামি করে দণ্ডবিধি  ৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় আদালতে মামলার চার্জশিট (নং-১৩৫/১৯) প্রদান করে পুলিশ।
আসামিরা হলেন, দক্ষিণ সুরমার সাধুর বাজারের তারা মিয়ার ছেলে ফখরুল ইসলাম শান্ত, বিয়ানীবাজারের মাথিউরা বাজারের আবদুল মালিকের ছেলে মাহমুদুর রহমান লায়েক, গোলাপগঞ্জের উত্তর রায়গড়ের কামরুল হাসানের ছেলে মুরাদ হোসাইন রানা, ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুরের (বর্তমানে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতাল, স্টাফ কোয়ার্টার) ফিরোজ আহমদের ছেলে সোহেল আহমদ জালাল, বিয়ানীবাজারের চারখাই জালালনগরের ময়নুল হোসাইন চৌধুরীর ছেলে হোসেন মুরাদ চৌধুরী ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সূর্যেরগাঁওয়ের আশীষ কুমার চক্রবর্তীর ছেলে অভিষেক চক্রবর্তী প্রকাশ মিথুন।
আশ্চর্য্য হলাম যে সুরুকি দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিলো তাকে অব্যাহতি দিয়ে আমাকে জডানো হলো উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে ।

 এমন কি আব্দুল আহাদের সাথে আমার কখনো বিরোধ ছিল না। বাদী যে টাকার উল্লেখ করছেন কুয়েতে এমন কেউ নেই যে বলতে পারবে আহাদ আমার কাছে টাকা পাবে এমন কি আহাদের কাছে লোকজন টাকা পাবে।
তবে আ হ জুবেদ কে কয়েকবার তার চাঁদাবাজির জন্য প্রতিবাদ ও প্রতিহত করি, তার পর থেকেই আ হ জুবেদ ও শামিম আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে । কেনো না শামিম তার মাজরা( কৃষি ফার্মে) ৬০/৭০ বাংলাদেশী শ্রমিক কে দিয়ে কাজ করিয়ে তাদের ৫/৬ পারিশ্রমিক না দেওয়াতে আমি তার প্রতিবাদ করি এবং আদায় করার জন্য জোর তদবির করি ।
হোসেন মোরাদ প্রশ্ন করেন যখন আব্দুলআহাদ হত্যা হয় তখন শামিম আহমেদ গ্রাম বিরুইন ভাগ একাটুনা ইউনিয়ন সেখান থেকে আব্দুল আহাদের গ্রাম মাত্র ৫/৬ কিলো: কিন্ত মৃত আহাদ কে দেখতে যান নি এমনকি মরহুম আব্দুল আহাদের জানাজায় না গিয়ে দুদিন পরে নিরবে কুয়েতে চলে আসেন , তাতে কি কোন কিছু সন্দেহ হতে পারে না ।
আমি  তীব্র নিন্দা জানাই এরকম একটা জগন্য কাজে আমাকে জড়িয়ে ফাঁসানোর জন্য। আমি আহাদ হত্যার প্রকৃত ঘাতকদের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সনাক্ত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাই।
হোসেন মোরাদ চৌধুরীকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন : জালালবাদ এসোসিয়েশন উপদেস্টা আজাদ মেম্বার, জালালবাদ একাংশের সিনিয়র সহ সভাপতি আলিম উদ্দিন, শ্যামল সিলেট এর সভাপতি আশরাক আলী ফেরদৌস,জালালবাদ এসোসিয়েশন সাদ উদ্দিন, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহেদ আহমেদ প্রমূখ




সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.