আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং
শওকত হোসেন :: আমার একজন ফলোয়ারও যদি ওমান থেকে থাকেন তাহলে এক অসহায় বোনের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন।
নাম আরজু আক্তার। বাবা মৃত আনোয়ার হোসেন মাতা রোকেয়া বেগম। বাড়ি নোয়াখালী জেলার সুবর্নচর থানার সুলতান নগর এলাকায়। অসহায় বোনটি স্বামী পরীত্ত্যাক্তা তার দুটি মেয়ে একটির বয়স সাত আরেকটির বয়স তিন। তারা খুবই গরীব তাই পরীবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে, কয়েকজন দালালের খপ্পরে পড়ে আরজু সে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে গৃহ পরীচারীকার ভিসায় ওমানে আসে। আর যারা তাকে ওমান আনে সেই দালাল গুলো হচ্ছে নোয়াখালী সুবর্নচরের পাংখার বাজারের সেলিম, সুমন ও রবিন।
আরজু ওমানের মাস্কেট শহরে আসার পর এখানে সম্পূর্ন ভিন্ন চিত্র তার কাগজপত্রের জটিলতা আছে বলে সেলিম ও সুমন তাকে বিক্রি করে দেয়, কুমিল্লার হাসান নামক এক ওমান প্রবাসীর নিকট, হাসান আরজুকে আটকে রেখে তার সাথে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করে, বিভিন্ন লোকজনের নিকট টাকার বিনিময়ে আরজুকে অনৈতিক কর্মে লিপ্ত করাত এভাবে কেটে যায় কয়েকমাস।
তারপর কুমিল্লার হাসান আরজুকে বিক্রি করে দেয়, ওমান প্রবাসী নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার মিজানের নিকট এই মিজান আরজুকে দিয়ে তিনমাস অনৈতিক ব্যাবসা করিয়ে পুনরায় বিক্রি করে বেগমগণ্ঝের রবিনের নিকট, রবিন তাকে দিয়ে অনৈতিক ব্যাবসা করা কালীন আরজু যে কোন ভাবে পালিয়ে ওমানের মাস্কেট শহরের আমরা ৬ নাম্বার নামক জায়গায় চট্রগ্রামের চকরীয়ার আবুকালাম নামক এক ওমান প্রবাসীর নিকট আশ্রয় নেয় ৷
চকরীয়ার আবুল কালাম ব্যাছেলর মানুষ তাই ভিবিন্ন সমস্যা হচ্ছে এজন্য এই মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে আরজুকে বেরীয়ে যেতে হবে কিন্তু আরজুর যাওয়ার কোন জায়গা নেই। আরজু যে কোন ভাবে আমার মোবাইল নং জোগাড় করে আজ ৫ দিন বার বার ফোন করে কান্নাকাটি করতেছে আমাকে বলছে তার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কিন্তু তার ছোট দুটি মাসুম বাচ্ছার ছবি আর কান্নার শব্দ শুনলে সে আর মরতে পারে না।
তাই ওমান প্রবাসী সকল বাংলাদেশীদের প্রতি বিনীত অনুরোধ মেয়েটি যাতে সহযোগিতার অভাবে মারা না যায়। দুটি নিশ্পাপ বাচ্ছা যাতে এই পৃথিবীতে তাদের একমাত্র অবলম্বন মা নামক শব্দটিকে চির দিনের জন্য হারিয়ে না ফেলে এজন্য কেউ না কেউ এগিয়ে আসুন মেয়েটিকে বাংলাদেশ পাঠানোর ব্যাবস্থা করুন। কেউ যদি প্লেন ভাড়া নিয়ে সমস্যা মনে করেন তাহলে আমার সাথে অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করুন।
শওকত হোসেন মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি ০১৮৫৬-০৯৪০৯২ তারপরেও দয়া করে বাচ্ছাদুটির মাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা করুন।
লেখক: শওকত হোসেন, পুলিশ ইউনিট সিএমপি।