আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কুলাউড়ায় যোগাযোগের অভাবে খাদ্য সংকটে বন্যার্তরা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৬-১৬ ১৩:৫৫:০৫

খলিলুর রহমান স্টালিন, কুলাউড়া থেকে :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে যোগাযোগের অভাবে তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছেন বন্যার্তরা। বন্যার পানি বাড়তে থাকায় প্রায় তিনদিন ধরে এই খাদ্যসংকটে পড়েছেন তারা। পর্যাপ্ত নৌকার অভাবে সরকারী ত্রাণও তাদের হাতে পৌছানো সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে, যোগাযোগ ব্যববস্থার অভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে না পেরে অনেকেই উচু যায়গায় খোলা আকাশের নিচে পরিবার নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। রোদে পুড়ে-বৃস্টিতে ভিজে এভাবেই দিন কাটাচ্ছেন তারা।

সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নের মন্দিরা গ্রামে বাঁধ ভেঙ্গে হরিচক, পালগাও, মন্দিরা, কাউকাপনসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫-৬ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই গ্রামগুলোর প্রায় অর্ধশত ঘরবাগি বন্যায় ভেসে যাওয়ায় বন্যার্তরা হরিচক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এই গ্রামগুলোর মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং খাদ্যসামগ্রীর জন্য স্থানীয় কটারকোনা বাজারের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কটারকোনা বাজারের সাথে আশ্রয়কেন্দ্রের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তারা বাজারে গিয়ে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারছেন না। কেউ কেউ সাতার কেটে বাজারে গেলেও খাবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌছাতে পারছেন না। সরকার থেকে ত্রাণসামগ্রী আসলেও সেগুলো তাদের কাছে পৌছানো সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে এভারগ্রীণ হাজীপুর নামের একটি সামাজিক সংগঠন বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করলেও যোগাযোগ সমস্যার কারণে তারাও সকলের চাহিদা পুরণ করতে পারছে না।

এ ব্যপারে হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন- তার ইউনিয়নে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। এই ইউনিয়নে ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ১০টন চাল এবং শুনকো খাবার সরকার থেকে তিনি পেলেও নৌকার অভাবে সেগুলো পৌছানো যাচ্ছে না। তবে আজকের মধ্যেই নৌকা এনে খাবার পৌছানো হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন- যোগাযোগের অভাবে অনেক লোক আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে পারছে না। তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে যেকোন ধরনের সহায়তা করার জন্য ইউনিয়নের সকল মেম্বারদের নির্দেশ দিয়েছেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ জুন ২০১৮/কেআর-এস/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন