আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মৌলভীবাজার-১ আসনে নির্ভার আ.লীগ, বিএনপিতে মনোনয়ন যুদ্ধ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১১-২০ ১১:০৪:২৮

এ.জে লাভলু, বড়লেখা :: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ মো. শাহাব উদ্দিন। দলে তাঁর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। এ আসনে তাঁর দলীয় মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত হওয়ায় অনেকটা নির্ভার আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে এ আসনে বিএনপি থেকে দলের মনোনয়ন চেয়ে মাঠে নেমেছেন ১৩জন নেতা। ফলে এ আসনে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে বিএনপি। এছাড়া জাতীয় পার্টির ২ জন নেতা দলের মনোনয়ন চেয়েছেন। পাশাপাশি সতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে জামায়াতের এক নেতাসহ দুজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এদিকে এ আসন থেকে নির্বাচন করতে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছেন দলের ১৩জন নেতা। তাঁরা হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী আইনজীবী এবাদুর রহমান চৌধুরী, কাতার বিএনপির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল হক সাজু, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাসির উদ্দিন মিঠু, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাফিজ ও সহসভাপতি আমেরিকা প্রবাসী দারাদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খসরু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌরমেয়র প্রভাষক ফখরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম হাসনা, বড়লেখা পৌর বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান আইনুল হক মিনু ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আসকর, কাতার প্রবাসী বিএনপি নেতা লোকমান আহমদ।

ব্এিনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, এসব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্য থেকে দলের দু:সময়ে যিনি নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেছেন, কেন্দ্র এমন কাউকে মনোনয়ন দিলে তারা তার পক্ষে কাজ করবেন।

বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খছরু বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমাদের দল দশ বছর ক্ষমতার বাইরে। কর্মীরা মামলা-হামলায় জর্জরিত। এরপরও দল সাংগঠনিক দিক থেকে ঐক্যবদ্ধ, মজবুত ও গোছানো আছে। নির্বাচন করতে এ আসনে অনেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। আমিও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি দলের জন্য কাজ করে যাবো। কিংবা দলের দু:সময়ে যিনি কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেছেন, এমন কাউকে কেন্দ্র মনোনয়ন দেয়, তবে আমরা তার পক্ষে কাজ করবো।’

অন্যদিকে এ আসনে জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে দুজন নেতা দলের মনোনয়ন চেয়েছেন। তাঁরা হলেন-জাতীয় পার্টির কেদ্রীয় সদস্য আহমেদ রিয়াজ ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আইনজীবী আফজাল হোসেন।

জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদ রিয়াজ বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন থেকে দলের জন্য এলাকায় কাজ করছি। বিপদে-আপদে সবসময় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি। এ আসনে আমরা দুজন দলের মনোনয়ন চেয়েছি। আশাকরি কেন্দ্র এসব কিছু বিবেচনা করে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেবে। আর যদিও দল অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয়, তবে তার পক্ষে কাজ করবো।’

অপরদিকে ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াত ইসলামী দল এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতিমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ঢাকা মহানগরীর শেরে বাংলা নগর থানা জামায়াতের সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় শিবিরের সাবেক অর্থ সম্পাদক মাওলানা আমিনুল ইসলাম।

বড়লেখা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক ফয়ছল আহমদ বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন করার প্রস্তুতি আছে। এ আসনে আমাদের জনসমর্থন ও সাংগঠনিক ভিত অনেক মজবুত। তাই ২০দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয়ভাবে লবিং চলছে। মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হওয়ার বিষয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদী। তবে জোটগত সিদ্ধান্ত সন্তোষজনক না হলে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি আছে আমাদের। এ সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। সে লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।’ এছাড়া চরমোনাই পীরের সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জুড়ী শাখার সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

প্রসঙ্গত, দুটি উপজেলা, একটি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসন। এ আসনের দুই উপজেলা মিলিয়ে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৪ জন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ নভেম্বর ২০১৮/এজেএল/ডিজেএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন