আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বড়লেখায় রক্ষা পেল বিরল লজ্জাবতী বানর, মাধবকুন্ডে অবমুক্ত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৪-১৯ ২২:৪৯:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়লেখা :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একটি বিরল লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জফরপুর গ্রামের এক বাড়ির গাছ থেকে স্থানীয়রা বানরটিকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ওইদিনগত রাতেই বনবিভাগের বড়লেখা কার্যালয়ের লোকজন বানরটি উদ্ধার করে মাধবকুন্ড ইকোপার্কে অবমুক্ত করেন।

বন বিভাগের বড়লেখা কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জফরপুর গ্রামের প্রবাসী আতিকুর রহমানের বাড়ির একটি গাছে স্থানীয়রা বিরল এই লজ্জাবতী বানর দেখতে পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার উৎসুক মানুষ ভিড় জমান। কেউ কেউ চিনতে না পারায় মেরে ফেলার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু প্রবাসী আতিকুর রহমান গাছ থেকে ধরে এনে বাড়িতে বেঁধে রাখেন। পরে বানরটির ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন। এরপর খবর দেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের।

গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বনবিভাগের বড়লেখা কার্যালয়ের বন প্রহরী তোফাজ্জল হোসেন ও নুরুল ইসলাম ওই বাড়িতে গিয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে বানরটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এসময় গণমাধ্যমকর্মী তপন কুমার দাস, সমাজসেবক মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও প্রবাসী আতিকুর রহমানসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ওই রাতেই বন বিভাগের লোকজন বিরল লজ্জাবতী বানরটিকে মাধবকুন্ড ইকোপার্কে অবমুক্ত করেন। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন, বন প্রহরী আমিনুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন ও নুরুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল লতিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রবাসী আতিকুর রহমান বলেন, ‘এটি যে লজ্জাবতী বানর কেউ বুঝতে পারেনি। গাছের ডালে বসা ছিল। অনেকে মেরে ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আমি মানা করেছি। পরে ধরে এনে বেঁধে রেখেছি। যতœ করেছি। প্রাণিটির যাতে ক্ষতি না হয় সেই চেষ্টা করি। প্রাণিটির পরিচয় জানতে ছবি তুলে ফেসবুকে দেই। এছাড়া সাংবাদিক ভাইদেরও খবর দেই। তাঁদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন আমাদের বাড়ি থেকে বানরটি নিয়ে যান। বন বিভাগের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি যে, এটি বিরল লজ্জাবতী বানর।’

বন বিভাগের বড়লেখা কার্যালয়ের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস বলেন, ‘এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা লজ্জাবতী বানরটি উদ্ধার করি। প্রাষিটি সুস্থ ছিল। আমরা এটির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ওই রাতেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও লোকজনের উপস্থিতিতে মাধবকুন্ড ইকোপার্কে অবমুক্ত করেছি। এই ইকোপার্কে আরো লজ্জাবতী আছে। আমরা আগেও বেশ কয়েকটি অবমুক্ত করেছি।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ এপ্রিল ২০১৯/এজেএল/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন