আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

শ্রীমঙ্গলে ইউএনও’র উদ্যোগে আবারো খুলে দেয়া হলো সেই রাস্তা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৪-২১ ২০:৩২:৫১

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :: গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে দুটি রাস্তার চারটি বাঁশের বেড়া অপসারণ করলেন ইউএনও নজরুল ইসলাম। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পূর্বশত্রæতার জের ধরে দুটি সড়কে বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি পুলিশ সাথে নিয়ে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব বেড়া অপসারণ করেন। ইউএনও’র এই তড়িৎ পদক্ষেপে রাস্তায় বেড়া তুলে দেয়ার ফলে গত একমাস যাবত স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের যাতায়াতে আর কোনও বাধা থাকল না।

সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ভূনবীর ইউনিয়নের আঐ ও পশ্চিম লইয়ারকুল গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কালাহুপা ছড়ার দুই পাশে চলাচলের গ্রামের দুটি কাচা রাস্তায় চারটি বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রেখেছিল একই গ্রামের মো: চেরাগ আলী, মো: জবান উল্লাহ ও প্রবাসী শহীদ উল্লাহ।

ওই দুই রাস্তায় বাঁশের তৈরি বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করায় শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহানোর অভিযোগে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট গ্রামবাসী অভিযোগ দেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকেল তিনটার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.আছাদুজ্জামান, শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক রোকন উদ্দিনসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স, সার্ভেয়ার শ্রীপদ দেব, ইউনিয়ন তহশীলদার সেলিম আহমেদ সরেজমিন ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন ইউএনও। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী, ইউপি সদস্য নিয়াজ ইকবাল মাসুদ, বদরুল আলম বকুলসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আব্দুল ওহাব উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মো.রাজু মিয়া বলেন, ইউএনও স্যারের উদ্যোগে আজ থেকে আমরা শিক্ষার্থী ও গ্রামের ৭-৮টি পরিবারের সদস্যরা  এই রাস্তা দিয়ে অবাধে যাতায়াত করার অধিকার ফিরে পেয়েছি।

এ ঘটনায় পশ্চিম লইয়ারকূল গ্রামের বেশকয়েকটি পরিবার বাদী হয়ে মো: চেরাগ আলী, মো: জবান উল্লাহ ও শহীদ উল্লাহর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অবগতির জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ার‌্যম্যান, উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব বরাবর অনুলিপি মাধ্যমে অভিযোগ প্রেরণ করেছিল।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে দুটি সড়কে চারটি বাঁশের বেড়া অপসারণ করে দিয়েছি। এতে এলাকার মানুষজন খুশি হয়েছেন। তিনি বলেন,‘যে কোনো রাস্তায় সর্বসাধারনের চলাচলে কেউ বাঁধা বিঘœ দিতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
 
উল্লেখ্য, পাশের বাড়ির একখন্ড জমি কেনাকে কেন্দ্র করে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কয়েকটি পরিবারের লোকজন ও শিক্ষার্থীদের পড়া লেখায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির করার জন্যই রাস্তায় বাঁশের তৈরী বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রবাসী পরিবারটি বিত্তশালী হওয়াতে স্থানীয়রা এবিষয়ে কেউ কোন সমাধান দিতে পারেনি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ এপ্রিল ২০১৯/ইআ/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন