আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ওদের চোখে ডাক্তার হবার স্বপ্ন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৫-১০ ০১:১১:১৪

ওমর ফারুক নাঈম, মৌলভীবাজার :: হাকালুকি হাওর পাড়ের মাহফুজা জান্নাত মিমি কিংবা রাজনগরের তাহমিদা আক্তার। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীর মতো ওরা। একজন ডাক্তার হয়ে হাওরপারের মানুষের জীবণ পাল্টে দিতে চায়। আরেকজন ডাক্তার হয়ে পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।

নানা প্রতিকূলতার সাথে নিরন্তর সংগ্রাম করেও জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখছে তারা। ভাল ফলাফলে দুচোখ ভরা উচ্ছ্বাস থাকলেও উচ্চ শিক্ষার ব্যয় কিভাবে মিটবে সে দুশ্চিন্তাও প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফিরছে তাদের।

ভবিষৎতে আরো ভালো ফলাফল করে দেশ গড়ার কাজে অংশীদার হতে চান তারা। কিন্তু আর্থিক সংকটে তাদের ওই স্বপ্ন কি পূরণ হবে?

পিএসসি ও জিএসসি সহ এবারের এসএসসি পরীক্ষায়ও এপ্লাস পেয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দরিদ্র মেধাবীরা। সহপাঠী, শিক্ষক, বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন আর শুভাকাঙ্খীদের সহমর্মিতা ও পরামর্শ তাদের সাফল্যের পেছনে প্রেরণার বাতিঘর হিসাবে ভূমিকা রেখেছে। এমনই দুইজন মেধাবীর গল্প সিলেটভিউর পাঠকের তাছে তুলে ধরা হলো।

মাহফুজা জান্নাত মিমি : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তির্ণ হয়েছে মাহফুজা। বাবা মইন উদ্দিন দুবাই প্রবাসী। মা অফিয়া বেগম গৃহীনি। ২ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরের দক্ষিণ পাশের ভুকশিমইল ইউনিয়নের বাদে ভুকশিমইল গ্রামের বাসিন্দা মাহফুজা।

নানা প্রতিকূলতা ও গ্রামের বৈরি পরিবেশের মধ্যেও প্রভল ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মাহফুজা তার এ সাফল্য অর্জন করেছে। সে লেখাপড়া করে ডাক্তার হয়ে হাকালুকি হাওর পারের অবহেলিত মানুষের জীবনমানের এবং দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে চায়।

তাহমিদা আক্তার : মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার রাজনগর আইডিয়েল হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তির্ণ হয়েছে তাহমিদা। তাহমিদার বাবা নজরুল ইসলাম একজন রাজ মিস্ত্রী। পাকার কাজ করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে কোনো রকম চলছে তাদের পরিবার। ৩ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে তাহমিদা তৃতীয়।

তাহমিদার বাবার পক্ষে লেখাপড়ার ব্যয় বার বহন করতে না পারায় বড় দুই বোনকে ইতি মধ্যে পাত্রস্থ করেছেন দরিদ্র বাবা। তাহমিদার স্বপ্ন লেখাপড়া করে ডাক্তার হওয়া। কিন্তু টাকার অভাবে এস্বপ্ন কতটুকু বাস্তবায়ন হবে বুঝে উঠতে পারছেন না তাহমিদা। সে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতেও এপ্লাস পেয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ মে ২০১৯/ওফানা/ডিজেএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন