Sylhet View 24 PRINT

কমলগঞ্জে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-০৮ ০০:১০:১৬

জয়নাল আবেদীন,কমলগঞ্জ :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান মাধবপুর লেকসহ পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকদের ভিড় ছিল লক্ষ্যনীয়। ঈদের দিন ও পরের দিন দুই দিনে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দুই সহস্রাধিক পর্যটকের উপস্থিতি ঘটে।

এই উপজেলার নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রপাত সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র সমুহে দর্শনার্থীর সে রকম উপস্থিতি না হলেও লাউয়াছড়া মিশ্র চিরহরিৎ বনকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করায় বিশেষত ছুটির সময়ে অত্যধিক পর্যটকের আগমন ঘটে।

জানা যায়, পর্যটন কেন্দ্রগুলো হলো বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, পদ্মকন্যা নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রভাত, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, বণ্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য রাজকান্দি বন, ঐতিহ্যবাহী লক্ষীনারায়ন দিঘী, দু’শ বছরের প্রাচীন ছয়চিরী দিঘী, শমশেরনগর চা বাগানের বাঘীছড়া লেক, আলীনগর পদ্মলেক, মাগুরছড়া পরিত্যক্ত গ্যাসফিল্ড, অপরূপ শোভামন্ডিত উঁচু নিচু পাহাড় বেস্টিত সারিবদ্ধ চা বাগানসহ বাংলাদেশের বৃহৎ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মণিপুরী সম্প্রদায় এলাকা। তাছাড়া প্রকৃতির পূজারী খাসিয়া নৃ-গোষ্ঠীসহ গারো, সাঁওতাল, মুসলিম (পাঙাল) মণিপুরী, ত্রিপুরীদের আবাসস্থল রয়েছে এই উপজেলায়।

এসব কেন্দ্রগুলোর সাথে এখানকার জীব বৈচিত্র উপভোগ করতে এসেছেন হাজার হাজার দেশী বিদেশী পর্যটক। নাগরিক জীবনের শতব্যস্ততার মধ্যে একটু ছুটি মিললেই শহরবাসীরা অনেকেই ছুটে কমলগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ঢাকা থেকে ভ্রমণে আসা নারী ফারহানা আক্তার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চাকুরিজীবি ফয়সল আহমদ বলেন, বছরের একটি দিন পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে তুলে। এজন্য এ বছর আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এখানে ছুটে আসা।

লাউয়ছড়া বনবিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, বৃষ্টির মাঝেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এসেছেন বন বিভাগ ও সহব্যস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে পর্যটকদের যে কোন সমস্যা নজরদারিতে রেখেছেন। এখন পর্যন্ত পর্যটকদের কাছ থেকে কোন অভিযোগও পাওয়া যায়নি। কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের ভাঙ্গাচোরা সড়কের কারণে পর্যটকদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। ঈদের দিন থেকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন বৃষ্টির মাঝেও দেশী বিদেশী তেরশ’ পর্যটকের উপস্থিতি ছিল। তাদের প্রবেশ মূল্য থেকে রাজস্ব আয় হয় ৬৫ হাজার টাকা। দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার দু’হাজার পাঁচ শ’ পর্যটেকর উপস্থিতি ছিল। এ দিন রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা। মাধবপুর চা বাগান লেকে ও চা বাগানের উঁচু টিলায় উঠে নিচের লেক ও আর লেকের বেগুন পদ্মের সাথে বেগুনি পানি অবলোকন করতেও পর্যটকদের উপছেপড়া ভিড় ছিল। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ ও আর্কাইভ দেখতে পর্যটকদের ছুটাছুটি ছিল।

বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় সহকারী বনকর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত লোক আসলে নিয়ন্ত্রণে তাদের নিজস্ব লোকবল রয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে পর্যটকদের যেতে দেওয়া হবে না। তাছাড়া ঈদে তারা নিজেরাও তদারকি করেন। ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রিত ট্যুরিজমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৮ জুন ২০১৯/জেএ/এসডি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.