আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে’ স্বেচ্ছায় সভাপতির পদ ছাড়লেন বিএনপি নেতা মাহমুদ আলী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১২ ১১:৪২:১৬

সিলেট :: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী কাউন্সিলের মাধ্যমে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বি ফারুক আহমদ পান্নাকে স্বেচ্ছায় নিজের পদ ছেড়ে দিয়ে নতুন করে আবারো আলোচনায় এসেছেন তিনি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবেদ রেজার নেতৃত্বে হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই কাউন্সিলে সভাপতি পদে সমান সংখ্যক ভোট পান হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী ও তার প্রতিদ্বন্দ্বি ফারুক আহমদ পান্না। পরে উপজেলার নেতারা লটারীর মাধ্যমে মাহমুদ আলীকে সভাপতি করে কমিটির ঘোষণা করেন। ওই কমিটিরে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আব্দুল হাই ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মো. জুনেদ আলম।

তবে লটারীর মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণার পরপরই সভাপতি প্রার্থী ফারুক আহমদ পান্না এ ঘোষণা প্রত্যাখান করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি মৌলভীবাজার জেলার বিএনপির সভাপতি এম. নাসের রহমান পর্যন্ত গড়ায়। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ওই পদে পুনঃনির্বাচনের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা আহবায়ক কমিটি ১০ জুন পুনঃনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন এবং সভাপতি পদের দুই প্রার্থীকে বিষয়টি মৌখিকভাবে অবগত করেন।

পরবর্তীতে ওই নির্বাচনের করণীয় সম্পর্কে মাহমুদ আলী তার সমর্থকদের নিয়ে নিজ বাড়িতে একটি জরুরী বৈঠক ডাক দেন। গত ৯ জুন রাতে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং বৈঠকে উপস্থিত কাউন্সিলরবৃদ নির্বাচন বর্জনের পক্ষে মত দেন।

কিন্তু বৈঠক চলাকালীন সময়েই কুলাউড়া উপজেলার বিএনপির নেতা ও সাবেক মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ, জয়নাল আবেদীন বাচ্চু ও আব্দুল মজিদ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ফারুক আহমদ পান্নাকে মাহমুদ আলীর বাড়িতে উপস্থিত হন। এ সময় ফারুক আহমদ পান্নার জন্য পদটি ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন নেতারা। তবে মাহমদু সমর্থকরা বিষয়টি মেনে নিতে পারেন নাই। এ সময় কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিলে মাহমুদ আলী নিজ সমর্থকদের শান্ত করেন।

একটু পরেই মাহমুদ আলী সবার উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি ব্যক্তি মাহমুদ আলী থেকে দল অনেক বড়। দলের স্বার্থে হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপিকে সু-শৃঙ্খল ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে এবং উপজেলা নেতৃবৃন্দের সম্মানার্থে আমি আমার ভাগ্নে ফারুক আহমদ পান্নার জন্য পদটি ছেড়ে দিলাম।

তিনি আরো বলেন, আমি আজীবন দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে ও ম্যাডাম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে আমার সবোর্চ্চ দিতে প্রস্তুত আছি।

মাহমুদ আলীর এমন বক্তব্য শুনে উপস্থিত সকলেই করতালির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের সময় গ্রেফতার হয়ে আলোচনায় এসেছিলেন হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক ওই চেয়ারম্যান। পরে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি লাভ করেন। তবে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই নিজ এলাকায় সক্রিয়ভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ জুন ২০১৯/কেআরএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন