আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

সিলেটভিউয়ে সংবাদ: শহীদ মিনারের সিঁড়ি ভেঙে নির্মিত শৌচাগারের ট্যাংক সরছে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১৭ ২২:৩৪:২৩

এ.জে লাভলু, বড়লেখা :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে দাসের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সিঁড়ি ভেঙে নির্মাণ করা শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে মেরামত করা হচ্ছে শহীদ মিনারের ভেঙে ফেলা সিঁড়ির অংশ।

এনিয়ে গতকাল সোমবার (১৭ জুন) ‘বড়লেখায় শহীদ মিনারের সিঁড়ি ভেঙে শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক!’ শিরোনামে সিলেটভিউয়ে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়। এছাড়া এবিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি ছাপা হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সকালে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শহীদ মিনারের একাংশ ভেঙে শৌচাগারের ট্যাংক নির্মাণের ঘটনায় বিদ্যালয় কমিটির সভাপতির ওপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি সংশ্লিষ্টদের দ্রæত সময়ের মধ্যে শৌচাগারের ট্যাংক সরানোর এবং শহীদ মিনার মেরামতের নির্দেশ দেন।

এসময় বড়লেখা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উবায়েদ উল্লাহ খান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্বপন চক্রবর্ত্তী, প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস, ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হাজী মুছব্বির আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ভবনের পেছনে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা স্বত্তেও দাসের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সিঁড়ি ভেঙে নতুন একাডেমিক ভবনের শৌচাগারের সেফটিক ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। ভাষা সৈনিকদের স্মৃতিস্তম্ভের একাংশ ভেঙে এভাবে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকি নির্মাণ করায় বিভিন্ন মহলে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছিল।

এ ব্যাপারে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান সোমবার (১৭ জুন) বলেন, ‘সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই। প্রধান শিক্ষক, কমিটির সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে শৌচাগারের ট্যাংক সরিয়ে ভবনের পেছনে সরিয়ে নেওয়ার এবং টাইলস্ দিয়ে শহীদ মিনার মেরামতের নির্দেশ দিয়েছি।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৭ জুন ২০১৯/এজেএল/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন