আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

চার মাস আগে ‘বড়ছড়া ব্রিজে’ দূর্ঘটনার আশঙ্কা করেছিলেন স্থানীয় ফাজু চৌধুরী!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-২৪ ২৩:৫৪:২৫

শাকির আহমদ, কুলাউড়া :: সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চারজন নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৩ জুন) ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই দূর্ঘটনাটি ঘটে। দূর্ঘটনাটির স্থান মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উপজেলার বরমচাল রেল স্টেশনের পাশ্ববর্তী ‘বড়ছড়া ব্রিজ’।

আজ থেকে প্রায় ৪ মাস আগে এই ব্রিজে এরকম দূর্ঘটনার শঙ্কা করেছিলেন স্থানীয় বজলুল করিম চৌধুরী আমিন মিয়ার ছেলে হুছনুল আমিন চৌধুরী ফাজু।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ওখানকার রেললাইনের ছবি সংযুক্ত করে তিনি নিজের ফেইসবুক টাইমলাইনে লিখেন, ‌‌‌‘বরমচাল বড়ছড়া সেতুর পাশে ঢাকা সিলেট রেল লাইন যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।'

উনার ওই স্ট্যাটাসের পর স্থানীয় এবং প্রবাসী যুব সমাজ-সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রতিবাদি হয়েছিলেন। অনেকে নিজেদের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখণীর মাধ্যমে প্রতিবাদ করেন। এরমধ্যে সৌদি প্রবাসী লুৎফুর রহমান রাজু, ফ্রান্স প্রবাসী ম্যাক নজির, ফ্রান্স প্রবাসী খায়রুল ইসলাম, কাতার প্রবাসী নোবেল প্রমুখ।

ফাজু চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‌‘পাশ্ববর্তী গ্রামে আমাদের বসতবাড়ি। এবং পাশ্ববর্তী কালামিয়ার বাজারে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তাই আমরা এই রেললাইনের ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করি। বহুদিন যাবৎ এই রেললাইনের স্লিপারে ক্লিপ নাই, তার দিয়ে জোড়াতালি দেয়া।

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,‘ওই স্ট্যাটাস দেয়ার পর আমি স্থানীয় মনসুর আলম চৌধুরী সুলতান, লাইনম্যান আব্দুল জলিল, স্টেশন মাস্টার কাজল ভাইকে বিষয়টি অবহিত করি। এর তিনদিন পর স্টেশন মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করলে উনারা আমাদের বলেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এদিকে, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের খবর পেয়ে স্থানীয় বরমচাল ও ভাটেরা ইউনিয়নের কয়েক শ মানুষের পাশাপশি ফাজু চৌধুরী নিজেও উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। রাত ৩টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজে সহযোগীতা করেন তিনি। আজ (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ‌‘কি লিখব জানি না আমি হতবাক রাত ১১/৪০ -৩/০০’।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৫ জুন ২০১৯/এসএ/ডিজেএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন