আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল: অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছেই!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-২৭ ১৪:২১:৩৯

এম ইদ্রিস আলী, শ্রীমঙ্গল :: ‘জুন ক্লোজি’-এর নামে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া ভুতুড়ে বিল নিয়ে অভিযোগের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার সিলেটভিউ২৪ডটকম-এ ‘‘জুন ক্লোজিং’র নামে বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকদের কাছে ভুতুড়ে বিল’’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর অনেক ক্ষুব্ধ গ্রাহক তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিল নেয়ার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

পৌরশহরের স্টেশন রোডের পৌরসুপার মার্কেটের ভাড়াটে মনির হোসেন বলেন, তার হিসাব নং ১৮৬/৩০১৫ (বাণিজ্যিক মিটার)। প্রতি মাসে ধাপে ধাপে তার বিল বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তার এপ্রিল মাসের বিল আসে ১১২৩ টাকা, মে মাসে বিল দেয়া হয় ২৩৬৮ টাকা। অথচ তিনি  দুই মাসে একই পরিমাই বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন।

শহরতলীর লালবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা জুয়েল আহমেদ, যার হিসাব নং ০৬০/১১৬৫। তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ৪ মাস ধরে তার হিসাব মিটারে ৪০২ থেকে ৪৬২ টাকা হারে বিল দেয়া হয়। অথচ জুন মাসে হঠাৎ বিল আসে ১৬২৯ টাকা।

শহরতলীর বিরাইমপুর এলাকার গ্রাহক কাজী আবদুল গফুর মিয়া অভিযোগ করেন, গত মে মাসে তার ১৩৬৫ টাকা বিল আসলেও জুন মাসে বিল দেয়া হয়েছে ২৯৩৬ টাকা। এর আগে এপ্রিলে বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছিল ৬৬৮টাকা। অথচ জুন মাসে তার ঘরে একটি ফ্যান কম ব্যবহার করা হয়েছে। তবুও অতিরিক্ত বিল এসেছে।

উপজেলার মোহাজেরাবাদ গ্রামের আব্দুল হাকিমের স্ত্রী হাজেরা খাতুন (হিসাব নং ০৪৫/২০০৭) জানান, এপ্রিল মাসে তার বিল আসে ৭৯৯ টাকা, মে মাসে বিল আসে ১৯৮৯ টাকা আর জুন মাসে বিল আসে ২ হাজার টাকা। এভাবে প্রতি মাসেই বিলের টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কমলগঞ্জ ভানুগাছ বাজারের ৭নং ওয়ার্ডের গ্রাহক সামাদ রহমান (মিটার নং-১২২২, হিসাব নং ১২২২/৩৮০) অভিযোগ করেন, এপ্রিলের বিল দেয়া হয় ৩১০ টাকা, মে মাসে এসে বিলের টাকা পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৯৫ টাকা এবং জুনের বিল দেয়া হয় ৭২৩ টাকা। এভাবে প্রতিনিয়ত বিলের পরিমাণ বাড়ছেই।

উত্তর ভাড়াউড়া বাসিন্দা মামুন আহমেদ লিটন (হিসাব নং-১৯৪/১৬২০) অভিযোগ করেন, এই প্রথম তার হিসাবে জুন মাসের বিল পরিশোধের শেষ তারিখ দেয়া হয়েছে ২৮শে জুন।

বেশিরভাগ গ্রাহকই অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে বিলি করা জুনের বেশিরভাগ হিসাবেই অতিরিক্ত বিল দেয়া হয়েছে। অনেক মিটার রিডার তাদের সরেজমিন মিটার প্রদর্শন না করেই আন্দাজের উপর রিডিং লিখে বিলে তুলে দেয়া হয়।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্রীমঙ্গলস্থ সদর দপ্তরের পরিচালনা বোর্ডের সহ-সভাপতি এলাকা পরিচালক জহির আহমেদ শামীম বলেন, ‘ভুতুড়ে বিলের মৌখিক অভিযোগ অনেক গ্রাহকদের কাছ থেকে পাচ্ছি। আগামী জুলাই মাসে সমিতির বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করে এর জবাব চাওয়া হবে।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৭ জুন ২০১৯/আইএ/আরআই-কে

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন