আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বড়লেখায় এতো উন্নয়ন, তবুও দূর্ভোগের প্রতীক এতটুকু রাস্তা!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১৪ ২১:৫৯:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়লেখা :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের মিহারী-শিলকুরা গ্রামীণ কাঁচা রাস্তার কারণে বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি নিয়ে মানুষের সীমাহীন কষ্ট। বরুদল নদীর পাশ ঘেঁষা এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে গ্রামে যাওয়া আসা করতে গিয়ে বর্ষা মৌসুমের প্রত্যেক দিনই গ্রামবাসীকে ফেলতে হয় বুকভরা দীর্ঘশ্বাস।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা দিয়ে বর্নি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিহারী, নয়াগ্রাম, শিলকুরা ও পাশের বিয়ানীবাজার উপজেলার সানেশ্বর, উলুউরি, গাংকুল, দাসউরা, কামারকান্দিসহ প্রায় দশ গ্রামের শিক্ষার্থী ছাড়াও সহস্রাধিক মানুষ প্রতিদিন যাওয়া আসা করেন। বর্ষা মৌসুমে কর্দমাক্ত রাস্তার কারণে গ্রামে গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনা। জরুরি মুহুর্তে বয়স্ক মানুষ ও রোগীকে কাঁধ ভারে করে পাকাসড়কে নিয়ে যেতে হয়। তাদের চলাচলের জন্য আর কোনো রাস্তা নেই। এতে মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্থানীয় লোকজন চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন।

গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষার্থী দেবান্তোষ দাস, ব্যবসায়ী লিটন দাস, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্যামা কান্ত দাসসহ অনেকই রবিবার (১৪ জুলাই) বলেন, ‘আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করি, যার কারণে দীর্ঘসময় পার হলেও গ্রামীণ এই অবহেলিত রাস্তায় এখন পর্যন্ত উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। রাস্তা অনেক কর্দমাক্ত, গাড়ি গ্রামে প্রবেশ করে না। জরুরি মুহুর্তে রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া কষ্ট। ছোট বাচ্চারাও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি অনেকবার জানানোর পরও রাস্তাটি এখনো বেহাল পড়ে আছে।’

স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুবোধ চন্দ্র দাস রবিবার (১৪ জুলাই) বলেন, ‘নদীপাড়ের এই রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ খুব কষ্ট করছে। এই রাস্তার জন্য কোনো বরাদ্দ হয়নি। চেয়ারম্যানকে বলে গত বছর কিছু বরাদ্দ নিয়ে মাটির কাজ করিয়েছি। গতবছর ইট সলিং এর জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করেছি।  কিন্তু কাজ করানোর জন্য কোনো বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না।’

বর্নি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শাহাব উদ্দিন মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে রবিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে বলেন, ‘কাদা হয়ে গেছে। মেঘ দিলে খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। মানুষ কষ্ট করে। গত বছর ইট সলিং এর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ করা যায়নি। তাৎক্ষণিক কিছু করতে পারছি না। এখন কোনো বরাদ্দ নেই। ব্যক্তিগত কিছু করলে করতে হবে। উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবগত করব। স্থানীয়দের নিয়ে ইট, বালু ফেলে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করব।’

বড়লেখা উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ ভূষণ পাল বলেন, ‘গ্রামীণ রাস্তা। নদী পাড়ে পড়েছে। এটা আইডিভুক্ত নয়। ডানে একটি রাস্তা আমরা করাচ্ছি। রাস্তাটি দেখেছি। অনেক কর্দমাক্ত। ইউনিয়ন পরিষদ প্রস্তাব দিলে এডিবি থেকে করানো যায়। গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ সড়ক। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উদ্যোগ নিলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে ইটের সলিং দ্বারা উন্নয়ন করা যেতে পারে।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ জুলাই ২০১৯/এজেএলপিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন