আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

কমলগঞ্জে ধলাই নদীর বাঁধে ভাঙ্গন, পানিবন্দি অসংখ্য পরিবার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১৪ ২২:২৫:১২

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে টানাবর্ষনে পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ২০ গ্রামের প্রায় ৪শ’ পরিবার পানিবন্দি ও শতাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রামপাশা,  চৈত্রঘাট ও ঘোড়ামারা এলাকায় ধলাই নদীর ভাঙ্গন দিয়ে এসব গ্রামে পানি ঢুকতেছে। রবিবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত ধলাই নদীতে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা যায়, কয়েকদিনের টানা বর্ষনে ভারতীয় ঢলে উপজেলার বিভিন্নস্থানে পানি প্রবেশ করছে। তাছাড়া বৃষ্টির পরপরই ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৌরসভার রামপাশা গ্রামের শ্যামল পাল চৌধুরীর বাড়ি সংলগ্ন ধলাই নদীর প্রায় একশ’ ফুট পরিমাণ প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে দুই গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়াও চৈত্রঘাট এলাকার নদীর পুরাতন ভাঙ্গন দিয়ে পানি বেরিয়ে এ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পশ্চিম ঘোড়ামারা গ্রাম এলাকায় পুরাতন ভাঙ্গন দিয়ে রবিবার সকাল থেকে পানি বের হচ্ছে।

এ ঢলে আদমপুরের পশ্চিম ঘোড়ামারা গ্রাম ছাড়াও নিম্নাঞ্চলের তিন ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন জানান, হকতিয়ারখোলা শিক্ষক অরুন কুমার সিংহের বাড়ির পাশে ধলাই নদীতে প্রায় ৩০ ফুট পরিমান ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙ্গনের ফলে হকতিয়ারখোলা, কেওয়ালীঘাট, জালালপুর, বন্দরগাঁও গ্রাম প্লাবিত হয়।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী তিনটি স্থান দিয়ে পানি বের হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধলাই নদীর ভানুগাছ রেলসেতু এলাকায় বিপদসীমার ৩৬ সে.মি. উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ জুলাই ২০১৯/জেএ/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন