আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কুলাউড়ায় ২ শিশু ধর্ষণ: সালিশে নিষ্পত্তির চেষ্টা, অবশেষে মামলা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১৫ ২০:৩৮:৩১

কুলাউড়া প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় প্রথম শ্রেণি ও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই শিশু ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয় সালিশে আপোষ নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হয়। সমাধান না হওয়ায় অবশেষে একটি মামলা রবিবার (১৪ জুলাই)রাতে কুলাউড়া থানায় দায়ের করা হয়েছে এবং অপর মামলাটি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

উপজেলার পৃথিমপাশা ও সদর ইউনিয়নে ভিন্ন সময়ে ওই দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। স্থানীয়ভাবে দুটি ধর্ষণের ঘটনা আপোষ নিষ্পত্তির নামে ধামাচাপার চেষ্টা চলে। বিষয়টি জানাজানি হলে কুলাউড়ায় মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।

কুলাউড়া থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী গত ১৯ জুন বেলা ৩টার দিকে বাড়ি ফিরছিলো। পথিমধ্যে তার পানির পিপাসা লাগলে গণকিয়া গ্রামের হারিছ আলীর বাড়ি যায় সে। এসময় হারিছ আলীর ছেলের বউ সুলতানা বেগম পানি দিয়ে বাড়ির দক্ষিণ পাশে পুকুরে চলে যান। সেই সুযোগে হারিছ আলীর ছেলে সিএনজি অটোরিক্সা চালক আহাদ মিয়া (২৩) ওই স্কুলছাত্রীর মুখ চেপে ধরে বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখায়। ওই স্কুলছাত্রীর মা বিষয়টি জানতে পেরে আহাদ মিয়ার বাবা হারিছ আলীর কাছে বিচারপ্রার্থী হন। কিন্তু আহাদ মিয়ার বাবা এ বিষয়ে কোন সমাধান না করায় রবিবার (১৪ জুলাই) রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে আহাদ মিয়াকে আসামী করে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা (নং ১৬ তাং ১৪/০৭/১৯) দায়ের করেন।

এদিকে উপজেলার কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের গাজীপুর চা বাগান এলাকায় প্রথম শ্রেণির ৬ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে গত শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে ধর্ষণ করেছে খোকন রাজভর (৩২)। ওই স্কুলছাত্রীকে বাসায় একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে বাগানের কতিপয় ব্যক্তি আপোষ নিষ্পত্তির নামে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে আজ সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে কুলাউড়া থানার এসআই্ দিদার উল্লাহ ও এসআই সনক কান্তি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।

কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের মেম্বার রামবিলাস দোসাদ নানকা জানান, আমি রবিবার (১৪ জুলাই) খবর জানতে পেরে অভিযুক্ত খোকন রাজভরসহ সকলকে বাসায় ডাকি। তাদেরকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলেছি।

পৃথক ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান জানান, পঞ্চম শ্রেণির শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। ১ম শ্রেণির শিশু ধর্ষণের ঘটনায়ও মামলা হচ্ছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৫ জুলাই ২০১৯/এসএ/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন