আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বড়লেখায় প্রস্তুত ৯টি আশ্রয়কেন্দ্র

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১৬ ২২:২২:১৩

এ.জে লাভলু, বড়লেখা :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাকালুকি হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, ফসলের মাঠ। এদিকে বন্যার পানি বাড়লে মানুষ যেন দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেন, সে জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুজানগর ইউনিয়নের বাড্ডা, রাঙ্গিনগর, দশঘরি, ভোলারকান্দি, পাঠনা, চরকোনো, কটালপুর, তালিমপুর ইউনিয়নের হাল্লা, আহমদপুর, কুটাউরা, শ্রী রামপুর, নুনুয়া, পাবিজুরিপার, গগড়া, বড় ময়দান, মুর্শিদাবাদকুরা, তেলিমেলি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার গ্রামীণ রাস্তাগুলো নিমজ্জিত হওয়ায় লোকজন নৌকা করে যাতায়াত করছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যার পানি বাড়লে মানুষ যেন দ্রæত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেন, সে জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৯টি আশ্রয় কেন্দ্র। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- উপজেলার বর্নি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাংগাউটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজিমগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিতীয়ারদেহী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাশেরবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, টেকাহালী উচ্চ বিদ্যালয়, ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়, পঞ্চগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।

এদিকে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. শরীফ উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়েদ উল্লাহ খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন, তালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস প্রমুখ।

তালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস মঙ্গলবার বলেন, ‘পানির ঢেউ খুব আতংক সৃষ্টি করছে। ঢেউয়ের কারণে নিচের মাটি সরে বাড়ি-ঘর পড়ে যাচ্ছে। পানি যদি আর বাড়ে তবে মানুষের বেশি কষ্ট হবে।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়েদ উল্লাহ খান বলেন, ‘রবিবার (১৪ জুলাই) থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ ওঠেনি। ওঠার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। পানি একটু বাড়লে ভোলারকান্দি গ্রামের লোকজন সবার আগে উঠতে হবে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. শরীফ উদ্দিন মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বলেন, ‘নিচু এলাকার বেশ কয়েকটি স্কুলে পানি ঢুকেছে। প্রতিবছর ওগুলোতে পানি ঢুকে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আমি বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিস্থিতি ঘুরে দেখেছি। কয়েকটি গ্রামীণ রাস্তায় পানি ওঠেছে। আজকে যেহেতু রোদ উঠেছে। পানি বাড়ছে না। ধারণা করছি বৃষ্টি না হলে বুধবার থেকে পানি কমতে শুরু করবে। পানি না বাড়লে আর ঝুঁকি নেই।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ জুলাই ২০১৯/এজেএল/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন