Sylhet View 24 PRINT

শ্রীমঙ্গলে বাচ্চা ফুটালো অজগর

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১৭ ১৭:২৬:১৫

সিলেট :: বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে আশ্রিত অজগরের ডিম থেকে বাচ্চা ফুঁটেছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত এসব ডিম থেকে একে একে বাচ্চাগুলো পৃথিবীর আলো দেখা শুরু করে।

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সীমান্তের দিনারপুর পাহাড়ের একটি লেবুর বাগান থেকে ১৯৯৯ সালে একটি অজগর উদ্ধার হওয়ার পর ৪র্থ দফায় গত ৯ জুন শনিবার রাতে অজগরটি ৩২ টি ডিম দেয়। ডিম পাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অজগরটি নিজেকে বৃত্তাকারে গুটিয়ে নিয়ে ডিম ঢেকে রেখে ‘তা’ দিতে শুরু করে। বুধবার সকালে এই ডিমগুলো থেকে ছোট ছোট অজগরের বাচ্চা বের হতে শুরু করে।

বন্যপ্রাণী ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, এর আগে ওই অজগরটি প্রথম ২০০২ সালের মে মাসে ৩২টি ডিম পেড়েছিল। ডিম পাড়ার ৫৯ দিন পর ২৮টি বাচ্চা ফুটেছিল। ২০০৪ সালের ১৩ মে ৩৮টি ডিম দেয়। সেবার ৬০ দিন পর বাচ্চা ফুটেছিল ৩২টি। সর্বশেষ ২০১১ সালের মে মাসে ৩০টি ডিম দেয়।

 বুধবার সকাল ৯টায় বন্যপ্রাণী সেবা আশ্রমে গিয়ে দেখা যায়, সদ্য ফুঁটানো বাচ্চাগুলোর নিরাপত্তায় সাপটি উদ্বিগ্ন হয়ে আছে। মানুষের উপস্থিতিতে তেড়ে আসছে। তবে এপর্যন্ত কতটা ডিম ফুঁটেছে তা জানা যায়নি। সেবা আশ্রমের পরিচালক সজল দেব বলেন আরো সময় লাগবে বিষয়টি জানতে।

সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব জানালেন, গেল ঈদের দিন ১২-১৪ কেজি ওজনের একটি আজগর লাউয়াছড়া বন থেকে লোকালয়ে চলে আসে। এ একটি ১০ কেজি ওজনের ছাগল আক্রমন করে। পরে স্থানীয় লোকজন ভয়ে সাপটিকে পিটিয়ে আহত করে।খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ছুটে গিয়ে সাপটি উদ্ধার করে লাউয়াছড়া বনে ছেড়ে দেই। খাদ্য সংকটের কারণে তারা প্রায় সময় লোকালয়ে চলে আসছে বলে জানালেন সজল দেব। ১৯৯৯ সালে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সীমান্তের দিনারপুর পাহাড়ের একটি লেবুর বাগান থেকে এই সাপটিকে আবার উদ্ধার করা হয়। তখন থেকেই তাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

এর আগে যতগুলা বাচ্চা ফুটেছে তা বনে অবমুক্ত করেছেন। অজগরটি ২০০২ সালের মে মাসে ৩২টি ডিম পেড়েছিল। ডিম পাড়ার ৫৯ দিন পর ২৮টি বাচ্চা ফুটেছিল। ২০০৪ সালের ১৩ মে ৩৮টি ডিম দেয়। সেবার ৬০ দিন পর বাচ্চা ফুটেছিল ৩২টি। সর্বশেষ ২০১১ সালের মে মাসে ৩০টি ডিম দেয়। তবে, এখন প্রতি বছরই ডিম দিচ্ছে। আর যেসব বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে তা লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করে দেয়া হচ্ছে।

তিনি জানালেন, গত ৯ জুন শনিবার উদ্ধার হওয়া সাপটি বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের অতিথিয়তায় ৩৫টি ডিম দিয়েছে। ডিমগুলো দেখতে অনেকটা রাজহাঁসের ডিমের মতো। ডিম পাড়ার পর সেই ডিমগুলো রক্ষায় সতর্ক পাহারায় থাকে সাপটি। পরম যতেœ কু-লী পাকিয়ে ডিমগুলো ঢেকে রাখে। এখন সেই ডিম ফুঁটে বাচ্চা বের হচ্ছে। এর আগেও সাপটি ৩ বার ডিম দিয়েছে-সজল জানালেন ।

নাওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফারা ও বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ আসিফ এর মতে , এটি বার্মিজ পাইথন। এই অজগরের আকার ও বয়সের ওপর নির্ভর করে তার ডিমের সংখ্যা। বয়স ও আকার যত বাড়বে ডিমের সংখ্যাও বাড়বে। খাঁচায় বন্দি অবস্থায় অজগরের বাচ্চা ফুটলে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয়। এই সাপের ১০৭টি পর্যন্ত ডিম দেয়ার রেকর্ড আছে। মার্চ থেকে জুন মাসে এরা ডিম দেয়। ডিম ফুটতে প্রায় ৬০ দিন সময় লাগে। আমাদের দেশে এই প্রজাতির সাপ চট্টগ্রাম বিভাগ, সিলেট বিভাগ ও সুন্দরবনে দেখা যায়। পাখি থেকে বড় হরিণ, ছাগল সবই তার খাদ্য তালিকায় আছে বলে তিনি জানান।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৭ জুলাই ২০১৯/ এসটি/ শাদিআচৌ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.