আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং
ওমর ফারুক নাঈম, মৌলভীবাজার :: আর কদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা। দেশের সবত্র বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। তেমনি কোরবানীর পশুর হাটগুলোতেও ভিড় জমছে। একই চিত্র মৌলভীবাজারে। ঈদের দুই দিন আগে থেকেই পশুর হাট ভরে উঠছে। হাওর অধূষিত এই জেলায় চাহিদার তুলনায় এবার কোরবানীর পশুর বিশাল ঘাটতি রয়েছে।
কিন্তু প্রতি বছর সপ্তাহদিন আগে থেকেই জমে উঠত মৌলভীবাজার পৌরসভার এম. সাইফুর রহমান স্টেডিয়ামে কুরবানির পশুর হাট। কিন্তু এবছর একটু দেরিতে জমেছে।
জানা যায়, এবছর মৌলভীবাজার পৌরসভা কুরবানির পশুর হাট ২৫ লক্ষ ৫০হাজার টাকায় ইজারা দেয়। বুধবার হাটের উদ্বোধন হয়। তবে ইজারাদারের অভিযোগ, শহরের পাশে চাঁদনীঘাট এলাকায় কুরবানির পশুর হাট থাকার কারণে এখানে জমে উঠেনি পশুর হাট। হাটে পশুও কম রয়েছে। যার জন্য হাট ইজারা নিয়ে লোকসান দিতে হবে বলে জানান ইজারাদার।
সরেজমিনে এম সাইফুর রহমান স্টেডিয়ামের পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায় হাটে কুরবানির পশু উঠেছে। ক্রেতারা এসে দাম-দর করে পছন্দের পশু কিনছেন। এই হাটে সবচেয়ে দামী পশুর দাম ১০ লক্ষ টাকা। গরুটি শাহবন্দর থেকে নিয়ে এসেছন শাহেল আহমদ তিনি জানান, “অনেক যতœ করে পশুটিকে পালন করেছেন। এবার যদি আশার দামে বেচতে না পারেন তাইতে পরের বার বেচবেন”।
মৌলভীবাজারে চাহিদার তুলনায় গবাদিপশু আছে কম। ফলে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা মেটাতে অন্য জেলাগুলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তুলনামূলক বেশি দামে কোরবানির পশু কিনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবিএম সাইফুজ্জামান ¬জানান, এবছর কোরবানির সম্ভাব্য চাহিদা রয়েছে ৮২ হাজার ৯৬৪ টি। মজুদ আছে ৬৪ হাজার ৮২২টি। সেই হিসেব ঘাটতি রয়েছে ১৮ হাজার ১৪২টি।
এর মধ্যে সম্ভাব্য গরু/মহিষের চাহিদা রয়েছে ৫৯ হাজার ৯৪৯টি। আর মজুদ আছে ৪৮ হাজার ২৬২টি। এর ঘাটতি আছে ১১ হাজার ৬৮৮টি। ছাগল ও ভেড়ার সম্ভাব্য চাহিদা আছে ২৩ হাজার ১৫টি। কিন্তু মজুদ আছে মাত্র ১৬ হাজার ৫৬১টি। সেই হিসেবে ঘাটতি ৬হাজার ৪৫৪টি।
সংশ্লীষ্টরা বলছেন, ওই ঘাটতি পূরণ হয় আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে আসা গবাদিপশু দিয়ে। ফলে কোরবানির সময় গবাদিপশুর ঘাটতি অন্য জেলার বাড়তি পশু দিয়ে পূরণ হয়।
এদিকে গত বছর জেলায় যে পরিমাণে গবাদিপশু পালন করা হয়েছিল, এ বছর তার চেয়ে অনেক কম পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে। বন্যার করণে কৃষক গবাদিপশু পালনে আগ্রহ কমে যাছে। অন্যদিকে, প্রতিবছর মৌলভীবাজার কোরবানির পশুর চাহিদা বাড়ছে।
তবে জেলার প্রধান হাটসহ অন্যান্য হাট গুলোরও জমে উঠেনি বলে খবর পাওয়া গেছে। এর কারণ হিসেবে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনিতির কারণ হিসেবে জানিয়েছেন সংশ্লীষ্টরা। আর এবার বিভিন্ন দুযোর্গ থাকায় প্রবাসীরাও দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এবার ঈদে প্রবাসীদেরও আনাগুনা তুলনামূলক খুবই কম।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ আগস্ট ২০১৯/ওফানা/ডিজেএস