আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ঈদে পশু কোরবানীকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কুলাউড়ার কামাররা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-১০ ১১:২৭:৫৩

শাকির আহমদ, কুলাউড়া :: আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। আর একদিন পরেই উদযাপিত হবে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এ উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন পশু ক্রয়ের সাথে পশু কোরবানীর কাজে ব্যবহৃত দা, বটি, চাকু, কুড়াল, ছুরি, চাপাতিসহ সরঞ্জামও ক্রয় করছেন কোরবানী দানকারী মানুষ।

পশু কর্তণের এসব সরঞ্জামাদি যোগান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার কামাররা। কামারপাড়ায় এখন লোহা হাতুড়ির টুং টাং শব্দ। দিনে ও রাত জেগে নিরলসভাবে কাজ  করে যাচ্ছেন তারা। কামারদের হাতের সাহায্য নিয়ে কৃত্রিম বাতাসের তালে তারা পুড়াচ্ছেন কয়লা, জ্বালাচ্ছেন লোহা। সেই লোহাকে হাতুরী পেটা করে মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরী করছেন নানা প্রকৃতির ছুরি-চাকু-দা।

কামারপাড়ায় দা-ছুরি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাকু প্রতি পিছ ৫০-৮০ টাকা, দা ৪০০-৫০০ টাকা, চাপাতি ৩০০-৪০০ টাকা ও বটি ২০০- ২৫০। পুরনো যন্ত্রপাতি শান দিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। শহরের ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একটানা কজ করে যাচ্ছেন কামাররা।

কুলাউড়ার বরমচাল ইউনিয়নের কারিগর জগ মহন ধর সিলেটভিউকে বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে এ ঈদ এলে আমাদের কাজের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। সকাল ৯ টা থেকে রাত ১২-১ টা পর্যন্ত একটানা কাজ করতে হয়। ক্রেতাদেরও কমতি নেই। একটু বেশি আয়ের উদ্দেশ্যে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয় আমাদের’।

দা-ছুরি দোকানের কর্মচারি বিপন ধর সিলেটভিউকে বলেন, ‘ঈদ আইছে তাই অনেক ব্যস্ত। আমরা কিভাবে পরিবার নিয়ে চলি। মালিকের সারাদিনে পাঁচশত টাকা রুজি হলে আমাদের কত টাকাই দিবেন?’। 

গরু জবাইয়ের চাকু কিনতে আসা আব্দুস সহিদ, জামাল হাসান, তাজ খান সিলেটভিউকে বলেন, ‘বাড়িতে থাকা চাকুগুলোতে মরিচা পড়ে গেছে। ওগুলো দিয়ে মাংস কাটাকাটি করতে অসুবিধা হবে। তাই নতুন দা-চাকু কিনতে আসছি। তবে অন্য সময়ের তুলনায় ঐসবের দাম একটু বেশি রাখছে কামাররা’।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১০ আগস্ট ২০১৯/ এসএ/কেআরএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন