Sylhet View 24 PRINT

কমলগঞ্জে দৃষ্টি নন্দন পর্যটন কেন্দ্রগুলো

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-১১ ০৯:২৪:০৭

জয়নাল আবেদীন, কমলগঞ্জ::মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্যরে অপার লীলাভূমি টিলাঘেরা সবুজ চা বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ ৯টি স্থান প্রাকৃতিক ভরপুর। পবিত্র ঈদুল আযহার টানা ছুটিতে পর্যটকদের বরণ করতে প্র¯‘ত রয়েছে এই ৯টিস্থান। দেখলেই পর্যটকের মন ও দৃষ্টি কেড়ে নেবে এসব জনপদ।

জানা যায়, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, ত্রিপুরা সীমান্ত ধলই চা বাগানে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, নিবিড় পরিবেশে নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, ঝর্ণাধারা হামহাম জলপ্রপাত, মাগুরছড়া ও ডবলছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, শিল্পকলা সমৃদ্ধ মণিপুরী, খাসিয়াসহ ক্ষদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জীবন ধারা ও সংস্কৃতিসহ লাউয়াছড়া উদ্যান সংরক্ষিত বনাঞ্চলে রয়েছে দর্শণীয় স্থানে পশুপাখি, বন্য প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল। এ উদ্যানে অপলক দৃষ্টিতে সবুজ বৃক্ষরাজি। এই উদ্যান ভ্রমন পিপাষুদের জন্য ১৯৯৬ সালে ১২৫০ হেক্টর এলাকা নিয়ে লাউয়াছড়াকে ঘোষণা করা হয় জাতীয় উদ্যান হিসেবে তাই এখন পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষনীয় স্থান হিসাবে রয়েছে।

মাধবপুর চা বাগানে নয়নাভিরাম মনোরম দৃশ্য মাধবপুর লেক আকর্ষণীয় ¯’ানে পাহাড়ি উঁচু নিচু টিলার মাঝে দৈর্ঘে প্রায় ৩ কিঃমিঃ পানির হ্রদ ও তার শাখা প্রশাখা চারপাশে পাহাড়ি টিলার উপর সবুজ চা বাগানের সমারোহ, জাতীয় ফুল দুর্লভ বেগুনী শাপলার আধিপত্য, ঝলমল স্ব”ছ পানি, ছায়া নিবিড় পরিবেশ, শাপলা শালুকের উপস্থিত আনন্দের বাড়তি মাত্রা যুক্ত করেছে। মাধবপুর লেকের দৃশ্য উপভোগ করে বেরিয়ে এসে একই রাস্তয় প্রায় ১০ কিঃমিঃ যাওয়ার পরই বীরশ্রেষ্ট শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ দেখলে নয়ন জুড়াবে।

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরুর সময়ে ব্রিটিশ আমলে গড়ে উঠেছে শমশেরনগরে বিশালাকার বিমান বন্দর। এখানে বর্তমানে আরটিএস (রিক্রুট ট্রেনিং) স্কুল স্থাপন করায় ভেতরে প্রবেশ করে ভ্রমন করা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না। বিমান বাহিনী ইউনিট এলাকায় পতিত ভূমিকে কাজে লাগিয়ে কাঁঠাল, আনারস, লিচু, কুল, ধান, আলুসহ নানা জাতের ফল, কৃষি ও মৎস্য খামার গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমির উপর একটি স্মৃতি সৌধও নির্মিত হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পরিচালিত দৃষ্টিনন্দন বিএএফ শাহীন কলেজ অবস্থিত।

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিঃমিঃ পূর্ব-দক্ষিণে রাজকান্দি বন রেঞ্জের কুরমা বনবিট এলাকার প্রায় ১০ কিঃমিঃ অভ্যন্তরে দৃষ্টিনন্দন হামহাম জলপ্রপাত। স্থানীয় পাহাড়ি অধিবাসীরা এ জলপ্রপাত ধ্বনিকে হামহাম বলে। তাই এটি হামহাম নামে পরিচিত। সেখানে সরাসরি যানবাহন নিয়ে পৌঁছার ব্যবস্থা নেই। কুরমা চেকপোস্ট পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিঃমিঃ পাকা রাস্তায় স্থানীয় বাস, সিএনজি, জিপ ও মাইক্রোবাসে যেতে হয়। বাকি ১০ কিঃমিঃ পায়ে হেঁটে যেতে হয়। সেখান থেকে প্রায় ৫ কিঃমিঃ দূরে সীমান্ত এলাকায় ত্রিপুরা আদিবাসী পল্লী। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা তৈলংবাড়ী কলাবন বস্তি থেকে পায়ে হেঁটে রওয়ানা হতে হবে। প্রায় ৮ কিঃমিঃ পাহাড় টিলা ও ২ কিঃমিঃ ছড়ার পানি অতিক্রম করে ৩ ঘন্টা পায়ে হাঁটার পর ১৬০ ফুট উ”চতার হামহাম জলপ্রপাত রয়েছে।

ভ্রমণের আরেক স্থান পাক বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের নিরব স্বাক্ষী বিভিন্ন বধ্যভূমি, ব্রিটিশদের শোষনের প্রতীক তিলকপুর নীলকুটি, ঘটনাবহুল মাগুরছড়া গ্যাসফিল্ড, বর্ণময় শিল্পসমৃদ্ধ মনিপুরী সম্প্রদায়সহ টিপরা, খাসিয়া, গারো সমাজের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তা এলাকা।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১১ আগস্ট ২০১৯/মিআচ
 

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.