আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বড়লেখায় দুই ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-১৯ ১৮:৩০:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়লেখা :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা হাসপাতালে দুজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদের একজন ঢাকা ফেরত ও আরেকজন স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বড়লেখা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় তাদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। ঢাকা ফেরত আক্রান্ত রোগীর নাম আবু জাহের (৩৮) ও স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত রোগীর নাম শাহিন আহমদ (১৭)।

বড়লেখা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট রবিবার রাত পৌনে দশটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন সদর ইউনিয়নের মহদিকোনো এলাকার আবু জাহের। তিনি ঢাকা ফেরত। আবু জাহের ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। অপর রোগী তালিমপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর এলাকার শিক্ষার্থী শাহিন আহমদ সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে ভর্তি হয়েছেন।

শাহিন আহমদ স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। বড়লেখার বাইরে কোথাও তিনি ভ্রমণ করেননি। শাহিনের আশপাশের বাড়িতেও কোনো ডেঙ্গু রোগী নেই। বড়লেখায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। যার কারণে চিকিৎসকদের ধারণা, বড়লেখায় ডেঙ্গু রোগের জীবাণু বহনকারী এডিস মশা আছে।

বড়লেখা হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. বিনায়েক ভট্টাচার্য্য সোমবার (১৯ আগস্ট) বলেন, ‘ঢাকা ভ্রমণ করে আসা রোগী আমার তত্ত্বাবধানে আছেন। প্রথমদিকে যে সিনটম ছিল তাকে বাসায় ছেড়ে দেওয়া যেত। কিন্তু এখানে ঝুঁকি থেকে যায়। তিনি বাসায় মশারি ছাড়া ঘুমান কি না। এ জন্য থাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি। মশারির ভেতরে। যাতে মশা তাঁর কাছে যেতে না পারে। পেটে ব্যাথা ছাড়া তাঁর কোনো বিপজ্জনক লক্ষণ নেই। জাহেরের পরিবার স্বেচ্ছায় অন্যত্র নিতে চাইছেন। ডেঙ্গু রোগীর কিছু বিপজ্জনক লক্ষণ তাকে। বিপজ্জনক লক্ষণগুলো যদি না বাড়ে তাহলে উপজেলাতে চিকিৎসা সম্ভব। বিপজ্জনক লক্ষণগুলো বেড়ে গেলে তখন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হবে।’

বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শারমীন আক্তার সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে বলেন, ‘দুজন ভর্তি হয়েছেন। তাদের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। একজন ঢাকায় চাকরী করেন। সেখানে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যজন স্থানীয়ভাবে। দুজনকেই আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত রোগী বাড়ি চলে যেতে চাইছেন। অন্যজনকে তাঁর স্বজনরা সিলেট নিয়ে যাবেন। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে আমাদের হাসপাতালের প্রস্তুতি আছে শতভাগ। মশারি, স্যালাইন, ওষুধও আছে। স্টাফরা সব অ্যালার্ট রয়েছে। সিরিয়াস রোগিকেও রাখারমত প্রস্তুতি রয়েছে। সিরিয়াস হলে প্রথমে আমরা ম্যানেজমেন্টকে জানাই। সিভিল সার্জন স্যারকে জানাই। স্যারের পরামর্শে আমরা ভর্তি রাখছি।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ আগস্ট ২০১৯/এজেএল/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন