আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কমলগঞ্জে বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে ৯০ হাজার গ্রাহক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-২০ ২০:৩৫:৫৮

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় দফায় দফায় ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ৯০ হাজার গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কুলাউড়ার প্রধান গ্রীডে পাওয়ার সাপ্লাই ক্রটির কারণে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত চার বারে ৫ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। গ্রিড লাইন, বিদ্যুৎ লাইনে প্রতিদিন ত্রæটি দেখা দেয়ায় দিবারাত্রি দু’তিন দফায় কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটছে। ফলে গরমে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘ্ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, কারখানার গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন।

জানা যায়, মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের অধীনে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর, হাজীপুর, টিলাগাঁও, পৃথিমপাশা ও রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়ন অন্তভর্‚ক্ত রয়েছে। তবে সম্প্রতি সময়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ফলে প্রায় লক্ষাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক মিল-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

শমসেরনগর বাজারের ব্যবসায়ী ডা. আব্দুল মুত্তাকিন বলেন, দফায় দফায় ৫ ঘন্টার মতো বিদ্যুৎ নেই। এখনও দিনের বাকি সময় আর রাতে কতবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শমসেরনগর চা বাগানের একজন সহকারী কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে চা বাগানে কারখানায় চা উৎপাদনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটর এর মাধ্যমে কারখানা সচল রাখতে হয়। এ সময়ে লোড পর্যাপ্ত থাকে না।

ব্যবসায়ী মালিক মিয়া, সেলিম আহমদ, আব্দুল মালিক, শিক্ষক আব্দুর রহিম খান করে বলেন, বিদ্যুতের এমন লুকোচুরিতে নিত্য কাজকর্মে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন ও রাতে এক ঘন্টা করে চার, পাঁচ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ঈদের সময়েও এ সমস্যায় ভুক্তে হয়েছে। এ অবস্থায় প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছি। এছাড়াও বিদ্যুৎ দীর্ঘসময় না থাকলে অফিসে যোগাযোগ করলে কেউ ফোন রিসিভ করেন না, এমন কি ফোন বন্ধ থাকে। 

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, কুলাউড়া গ্রীডে পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যার কারণে কয়েক দফা বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। তবে কাজ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ওবায়দুল হক বলেন, কুলাউড়ায় গ্রীড ও তেত্রিশ হাজার কেভি প্রধান লাইনে ঘন ঘন বিপর্যয় ঘটছে। ফলে পূর্ব থেকে কোন নোটিশ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যানরা যথাসাধ্য কাজ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ আগস্ট ২০১৯/জেএ/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন