আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

কেন্দ্রীয় বহিস্কারাদেশ প্রত্যাখ্যান করলো মৌলভীবাজার তালামীয

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৯-১৪ ১৮:০৩:৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার :: কেন্দ্রীয় বহিস্কারাদেশ ও অব্যাহতিপত্র প্রত্যাখ্যান করে মৌলভীবাজার জেলা তালামীয সংবাদ সম্মেলন করেছে।

সংবাদ সম্মেলন করে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিজেদের বৈধ দায়িত্বশীল বলে দাবি করেন তারা। সেই সাথে ১০ দিনের ভেতর কেন্দ্রীয় পরিষদ এই বায়বীয় বহিস্কারাদেশ ও অব্যাহতির বিষয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রত্যাহার না করলে নিজ থেকেই সংগঠনের স্বার্থে যে কোন কর্মসূচি বাস্তবায়নেরও হুশিয়ারি দেয় জেলা তালামীয।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তালামীযে ইসলামিয়া মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক।

এসময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ মৌলভীবাজারে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “মৌলভীবাজার জেলার সকল স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের (কলেজ, মাদরাসা) সকল প্রতিষ্ঠান জেলা তালামীযের আওতাধীন। সংগঠনের অনুসারে এ সকল শাখার কমিটি গঠন কিংবা পুণর্গঠন করতে হলে জেলা শাখার সভাপতির অনুমোদন ও সাধারণ সম্পাদকের সুপারিশ লাগে। কিন্তু সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বাইরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সাধারণ সম্পাদক কাদের শ্রীমঙ্গল আনোয়ারুল উলুম ফাযিল মাদরাসা ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ কমিটির কাউন্সিল ডেকে কমিটি অনুমোদন করেন। এ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা তালামীযের সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ জেলার ১৪ জন দায়িত্বশীল সাধারণ সম্পাদক শেখ কাদের আল হাসানের উপর অনাস্থা প্রস্তাব এনে পদত্যাগপত্র কেন্দ্র বরাবর পাঠান। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটি দুইপক্ষকে নিয়ে সমাধানের আশ্বাস দিলেও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে ওই বৈঠকে যাননি। তথাপি অদৃশ্যকারণে তালামীযের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ কমিটিকে অবৈধ বা বাতিল ঘোষণা করেননি বরং ওই কমিটির অধীনে নবীণ বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, “সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে অনাস্থা জানিয়ে পত্র পাঠানো হলেও কেন্দ্রীয় পরিষদ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো মৌলভীবাজার জেলা তালামীযের সভাপতিসহ ১৬ জন দায়িত্বশীলের মধ্যে ৭ জনকে বহিস্কার ও ৯ জনকে অব্যাহতিপত্র গণমাধ্যমে পাঠান”।

এই বহিস্কারাদেশ ও অব্যাহতিপত্রকে বায়বীয় আখ্যায়িত করে মো. আব্দুর রাজ্জাক একে প্রত্যাখান করে বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত বহিস্কারপত্র ও অব্যাহতিপত্রের কোন কপি ডাকযোগে বা অন্য কোন মাধ্যমে সরাসরি আসেনি। দলের গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী আমরা সংগঠনের আদর্শ বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিনি। এ ব্যাপারে আমাদেরকে লিখিত বা মৌখিকভাবে শো’কজও করা হয়নি। আমাদের কি অপরাধ এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় পরিষদের কেউই আমাদের সরাসরি জানান নি। যেহেতু আমরা লিখিত বহিস্কারাদেশ বা অব্যাহতির কোন নোটিশ পাইনি। সেহেতু গণমাধ্যমে আসা বহিস্কারাদেশ ও অব্যাহতিকে আমরা আমলে নিচ্ছি না। এটি অসাংবিধানিক ও সাংগঠনিক নিয়মনীতি বহির্ভূত। কিন্তু গণমাধ্যমে আসার কারণে আমরাও গণমাধ্যমের সামনে তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের গাড়ি বহরের উপর হামলার খবর গণমাধ্যম থেকে তারা জেনেছেন বলে জানান এবং এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন বলেন, এই হামলার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার তালামীযের সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক, সহ সাধারণ সম্পাদক রাজন আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা তালামীযের অর্থ সম্পাদক জামাল আহমদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. আলী রাব্বি রতন, সহ প্রচার সম্পাদক মো. শফিউল আলম জুবেল, অফিস সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম,  মৌলভীবাজার সদর উপজেলা শাখার সভাপতি ও জেলা শাখার সহ শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান আযহার, সহ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আলী আকবর, সহ অফিস সম্পাদক এম কামরুল ইসলাম শাহান, জেলা সদস্য ফজলু হাসান, মো. মিছবাউর রহমানসহ মৌলভীবাজার সদর উপজেলা শাখার বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি, সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতিসহ ৭ জনকে বহিস্কার ও ৯ জনকে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগ এনে অব্যাহতি দেয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা আসে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ওএফএন/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন