আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

জুড়ীতে ধন মিয়ার মৃত্যু নিয়ে আদালতে মামলা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-০৬ ১৫:১৯:৩১

জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ধন মিয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা হয়েছে। ধন মিয়ার ভাতিজা জসিম উদ্দিন ০২ অক্টোবর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আমল আদালত, মৌলভীবাজার-এ পিটিশন মামলা (নং-৫২৫/২০১৯, ধারা ৩০২, ৩৪, ১১৪) করেন। মামলায় ইব্রাহিম আলী (ইরফান) ও তার ভাতিজা জহির উদ্দিন শামীমকে বিবাদী করা হয়। আদালত আবেদন আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইতে প্রেরণ করেন।

আবেদন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী ধন মিয়া (৪২) জুড়ী শহরের ডাকঘর সড়কে কাঁচা মালের ব্যবসা করেন এবং সংলগ্ন রেল কলোনীতে বসবাস করতেন। তিনি প্রায়ই ডাকঘর সড়কে জহির উদ্দিন শামীমের মালিকানাধীন বোর্ডিংয়ে শামীম, ইব্রাহিম আলী (ইরফান), আব্দুর রহিম, আব্দু মিয়া প্রমুখের সাথে আড্ডায় রাত কাটাতেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে যাননি। পরদিন সকাল ৯টায় জানতে পারি বোর্ডিংয়ে তার লাশ পাওয়া গেছে। চাচার মৃত্যু খবরে আমরা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ি। এই সুযোগে শামীম ও ইব্রাহিম তড়িগড়ি করাইয়া লাশ দাফন করান। পরে স্থানীয়দের মুখে বিভিন্ন কথা শুনে আমাদের দৃঢ় সন্দেহ হচ্ছে যে, শামীম ও ইব্রাহিম আলী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ধন মিয়াকে তাদের বোর্ডিংয়ে ডেকে নিয়ে অন্যান্যদের সহায়তায় নৃশংসভাবে হত্যা করে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রচার করেন। আবেদনকারী মোহাম্মদ আলীর লাশ উত্তোলন পূর্বক ময়নাতদন্ত করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।

এ বিষয়ে জহির উদ্দিন শামীম বলেন, বোর্ডিংটির মালিক আমার বাবা। তিনি আব্দুর রহিমকে মাসিক সাত হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছেন। দুই বছর থেকে আব্দুর রহিম সেটি চালাচ্ছেন। আনীত অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নহে।

ইব্রাহিম আলী (ইরফান) বলেন, ধন মিার মৃত্যু খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় যাই। তার ৩ ভাই আত্মীয় ও গ্রামের মানুষ মিলে কাফন দাফন করি। দুই দিন পর শুনি আমার উপর মামলা হয়েছে। যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও সাজানো।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৬ অক্টোবর ২০১৯/এমএএল/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন