আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকে বাধাগ্রস্থ করতে কুলাউড়ায় ষড়যন্ত্র চলছে

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-০৯ ১৭:১৮:৩৩



নিজস্ব প্রতিবেদক, কুলাউড়া :: কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের ভবন সম্প্রসারণ কাজের অনিয়মের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ঐ প্রতিষ্ঠানের গভর্ণিং বডি’র সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু’র বিরুদ্ধে অসত্য ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করায় সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুলাউড়ার রেস্ট হাউজে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সারাদেশে বর্তমান সরকারের শিক্ষা খাতে চলমান ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে ভূকশিমইল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের একটি ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ চলমান রয়েছে। উক্ত ভবনের ২য় ও ৩য় তলার ছাদ ঢালাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট উপসহকারী প্রকৌশলীগণ সরেজমিনে অবস্থান করে কাজ তদারকি করেন। গত ১ অক্টোবর টয়লেট ব্লকের নীচ তলার ছাঁদ ঢালাইয়ের কাজ করা হয় যা উপসহকারি প্রকৌশলী আবু সাঈদ মুহাম্মদ রাহী নিজে উপস্থিত থেকে দেখাশুনা করেন। ঐদিন সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানের ২য় তলায় মোজাইক মিস্ত্রি সবার অগোচরে অত্যন্ত নি¤œমানের প্যাটেন্ট স্টোন ঢালাই করে এবং পরদিন রাত পোহাবার পূর্বে কাজ করতে শুরু করলে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মো. আজমল আলী বাধাঁ দেয় এবং গভর্ণিং বডির সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে বিষয়টি অবগত করে। খবর পেয়ে গভর্ণিং বডির সদস্য পংকি মিয়া, এলাইচ মিয়া, মো আমিন উদ্দিনসহ মুরব্বিগণ সেখানে উপস্থিত হন। এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল মনছুর সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জুবের আহমদ ও উপপ্রকৌশলী আবু সাঈদ মুহাম্মদ রাহীকে অবহিত করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ অক্টোবর আমি এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, উপসহকারী প্রকৌশলী ও গভর্ণিং বডির সদস্যরা সরেজমিনে উপস্থিত থেকে নি¤œমানের প্যাটেন্ট স্টোন অপসাধারণ করে সংশ্লিষ্ট উপপ্রকৌশলীর উপস্থিতিতে নতুন করে কাজ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ঠিকাদার সে মোতাবেক কাজ করতে সম্মত হন।

গভর্ণিং বডির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন- ভূকশিমইল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজে যে অনিয়ম হয়েছিলো আমরা তা অবগত হওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে এর সমাধানও করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় যে, মীমাংসিত একটি বিষয় নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরবর্তীতে এলাকার মানববন্ধনের নামে মাইক বেধে আমার ও আমার দলের বিরুদ্ধে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে তাদের মনগড়া, অসত্য, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে।

তিনি বলেন- আমি মনে করি এতে করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি বিনষ্ট করার একটি গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন- উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির শুধুমাত্র দলীয় হীনমন্যতা থেকে এইসব অপকর্মের প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিচ্ছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকার বিরোধীতা এমন অপতৎপরতার লিপ্ত রয়েছে। তাছাড়া একটি অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের আয়োজন করে তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্যেশ্য প্রণোদিত। কারণ ভবনের কাজে যে অনিয়ম হয়েছে সেটার দায়ভার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের এবং গাফিলতি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। কিন্তু ঐ মানববন্ধনে আমার বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে তারা আমার সম্মান হানির জন্য এর আয়োজন করেছিলো। এবং এর মাধ্যমে সুকৌশলে আমার দল আওয়ামীলীগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দপ্তরের কাছে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডকে বাধা প্রদানকারী এবং অপপ্রচারকারী ঐসব দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।

সংবাদ সম্মলেনে কুলাউড়ায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদিকবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মো. আব্দুল মতিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির তোফায়েল, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক কামাল হাসান, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গৌরা দে, আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম সবুজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মইনুল ইসলাম সোহাগ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়হাম রুমেল প্রমুখ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৯অক্টোবর২০১৯/শাকির

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন