আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কুলাউড়ায় বিদ্যালয়ের মাটি ভরাট না করেই প্রকল্পের টাকা উত্তোলন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-১০ ১৮:০৯:৫৬



নিজস্ব প্রতিবেদক, কুলাউড়া :: কাজ না করেই কুলাউড়ার সাবেক ইউএনও স্বাক্ষরিত প্রকল্পের ৩৩ মেট্রিক টন ও তিনটি প্রকল্পে দেড় লক্ষ টাকা উত্তোলনের অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমান ইউএনও পরিদর্শণের পর চলছে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কাজ।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের গ্রামীন অবকাঠামো ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচীর আওতাভূক্ত টি. আর. (টেষ্ট রিলিফ), কাজের জন্য বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) এবং এলজিএসফি প্রকল্পের কাজ করার আগেই টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার প্রতাবী অগ্রনী উচ্চ বিদ্যালয়-এর আঙিনায় মাটি ভরাট ও উন্নয়নের জন্য ২১ মেট্রিক টন ও একই বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ১২ মেট্রিক টন বরাদ্দ করা হয়। ওই দুটি প্রকল্পসহ ৫০ হাজার টাকা করে আরও তিনটি প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান না হলেও প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

এসংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে বুধবার (৯ অক্টোবর) কুলাউড়ার সদর ইউনিয়নের স্থানীয়রা কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা শিমুল আলীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শণ করেন ইউএনও। টাকা উত্তোলনের বিষয়টি জানাজানি হলে গত ৮ অক্টোবর থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

বরাদ্দকৃত ওই প্রকল্পগুলো টাকার অঙ্কে মোট ১২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা বলে জানা যায়। প্রকল্পের কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই টাকা নিজেরা ভাগ-বাটোয়ারা করছেন সংশ্লিষ্টরা এমনটা অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল লাইছ ও  প্রকল্প কর্মকর্তা শিমুল আলী ওই প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের অনুমোদন প্রদান করেন। অগ্রনী উচ্চ বিদ্যালয়ের দু’টি প্রকল্পের সভাপতি কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাজাহান। 

অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার প্রতাবী অগ্রনী উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা মাটি ভরাট কাজে ২১ মেট্রিক টন (মূল্য- ৭ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা), একই প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠের উত্তর পাশ মাটি ভরাট কাজে ১২ মেট্রিক টন (মূল্য- ৪ লক্ষ ৮ হাজার টাকা), বনগাঁও-২ হোছনা বেগমের বাড়ীর পাশের রাস্তা মেরামত বাবদ ৫০ হাজার টাকা, ঝিমাই হতে বালাইমা পুঞ্জির রাস্তা মেরামত বাবদ ৫০ হাজার ও প্রতাবী ঝন্টুর বাড়ী হতে মসজিদ পর্যন্ত ইট সলিং ৫০ হাজার টাকা মোট ১২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার কাজ সম্পন্ন না করেই তা উত্তোলন করা হয়েছে। উত্তোলনের টাকা দায়িত্বপ্রাপ্তরা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শিমুল আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী জানান- স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছি। আগামী রবিবারের মধ্যে দু’টি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজ বাস্তবায়ন না করলে ও বাকি প্রকল্পগুলোতে অনিয়ম ধরা পড়লে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০অক্টোবর২০১৯/শাকির

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন