আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

কিস্তি নিতে কুলাউড়ায় ব্যবসায়ীদের পিছু ছাড়ছে না এনজিও কর্মীরা

করোনাভাইরাস আতঙ্কে দেশ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৩-২৩ ১১:৪৬:১০

শাকির আহমদ, কুলাউড়া :: ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্টানের মালিকরা বিভিন্ন এনজিও সংস্থার নিকট থেকে কিস্তি নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। গত এক সপ্তাহ পূর্ব পর্যন্ত তারা কিস্তি পরিশোধ করে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। হঠাৎ করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশের মতো মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়ও ব্যবসার অবস্থা নিম্নমুখী।

এদিকে রোববার (২২ মার্চ) থেকে রাত ৮ টা থেকে ফার্মেসী আর খাবার হোটেল বাদে সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

করোনা আতঙ্কে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া যখন সঙ্কটাকালীন সময় পার করছে ঠিক তখন হঠাৎ বেপোরোয়া হয়ে পড়েছেন এনজিও সংস্থার চাকুরীজীবিরা। তারা ওইসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কিস্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করেছেন। এমতাবস্থায় ব্যবসা প্রতিষ্টানের মলিকরা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে ছাড় পাচ্ছেন না।

কুলাউড়ার স্টেশন চৌমুহনীর পানের দোকানদার মো. শরীফ, ফলের দোকানদার চান্দু মিয়া, কাপড়ের দোকানদার রবিউল হোসেন, পানের দোকানদার সুফিয়ান মিয়া, সিরামিক ব্যবসায়ী ফুল মিয়া, ইসমাইল, মোবাইলের সরঞ্জাম ব্যবসায়ী অনিক, রাজু, দৌলতসহ একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, মানুষের এখন কাজ নেই। সরকার মানুষকে ঘরে থাকতে বলছে। স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতা না থাকায় পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা যাচ্ছে না। আমরা টাকা দিবো কোথা থেকে। এনজিওরা কিস্তি আদায় করছে। সরকারের কাছে আপাতত কিস্তি আদায় বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তবে এসব কোন অযুহাত মানতে রাজি হচ্ছেন না এনজিও মাঠকর্মীরা। এরমধ্যে ব্র্যাক, আশা, গ্রামীন, শক্তি, হীড বাংলাদেশ এনজিওগুলো অন্যতম।

নাম প্রকাশে একজন মাঠকর্মী জানান, আমাদের এনজিও অফিস থেকে এখনো কোন নির্দেশনা আসেনি। আমাদের কাজ টাকা আদায় করা, আমরা সেটা করছি। নির্দেশনা আসলে বন্ধ করে দেবো।

তবে এবষিয়ে এনজিও সংস্থা ব্র্যাক এর কুলাউড়া শাখার ঋণ কর্মকর্তা সুজিত পাল জানান, আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা আসেনি। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতার প্রতি আমাদের সহযোগীতা থাকবে। আপাতত পরিস্থিতি যেহেতু গুরুতর নয় সেহেতু ঋণ পরিশোধ করলে গ্রাহকের জন্য ভালো হয়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩মার্চ২০২০/শাকির

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন