আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৫ ১২:৫৭:৫৪

এ.জে লাভলু, বড়লেখা :: মৌলভীবাজার-১ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল ইসলাম মৃত্যুতে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা এবাদুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তবারক হোসাইন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর, পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান শিপলু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজু, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালেহ এলাহী কুটি, ইউকে-বাংলা প্রেসক্লাবের সাধরাণ সম্পাদক মুনজের আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।


বড়লেখা প্রেসক্লাবের শোক :
সাবেক সাংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুতে বড়লেখা প্রেসক্লাবের সভাপতি অসিত রঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত, সাংবাদিক আব্দুর রব, লিটন শরীফ, ইকবাল হোসেন স্বপন, মিজানুর রহমান, কাজী রমিজ উদ্দিন, রুয়েল কামাল, জালাল আহমদ, তপন কুমার দাস, সুলতান আহমদ খলিল ও এ.জে লাভলু প্রমুখ গভীর শোক ও সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম শনিবার (০৪ মার্চ) আমেরিকার সময় সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে এল্মহার্স্ট হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন থেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৪ মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রবিবার (০৫ এপ্রিল) সকালে সিরাজুল ইসলামের ছেলে আনিসুল ইসলাম মুঠোফোনে তাঁর বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ১৯৪৩ সালে মৌলভীবাজার বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের টেকাহালি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষকতা দিয়ে পেশা জীবন শুরু করেন। ষাটের দশকে তিনি বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৬৩-৬৪ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ সালে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের থানা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রথম সারির একজন সংগঠকের ভূমিকা পালনের পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

১৯৭২ সালে মৌলভীবাজার মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ স¤পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ ও ১৯৭৯ সালে পর পর দুইবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মৌলভীবাজার-১ আসনে সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আমেরিকায় পাড়ি জমান। এরপর থেকে তিনি রাজনীতিতে অনেকটা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/৫ এপ্রিল ২০২০/এজেএল/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন