আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বড়লেখায় হিমশিম খাচ্ছেন সাড়ে ৭ হাজার পরিবহন চালক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৮ ২২:২৪:১৪

এ.জে লাভলু, বড়লেখা :: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশের মতো মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার চালক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এতে আয়-রোজগার বন্ধ হওয়ায় তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এই অবস্থায় তারা সরকারি খাদ্য সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।   

বিভিন্ন পরিবহন চালক সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ বাস-মাইক্রোবাস, অটোরিকশা এবং ট্রাক, পিকআপ ও ট্রাক্টর চালক হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সারা দেশে গণপরিহন চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়। সরকারি এ নির্দেশনা অনুযায়ী বড়লেখায় সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এসব চালকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় তারা সংসার নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী নি¤œ আয়ের মানুষেরা খাদ্যসামগ্রী পেলেও তারা এইধরনের সহায়তা পাচ্ছেন না। 

বড়লেখা উপজেলার অটো, টে¤পু, সিএনজি সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হোসেন বুধবার রাতে বলেন, বড়লেখা উপজেলায় ৩২টি অটোরিকশা স্ট্যান্ড রয়েছে। এসব স্ট্যান্ডে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার চালক আছেন। করোনা ভাইরাসে কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় চালকরা বেকার হয়ে পড়েছেন।

তিনি জানান, আমরা খাদ্য সহায়তার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম। উনার মাধ্যমে এক টন চাল পেয়েছি। কিন্তু এই চাল ৫ কেজি করে মাত্র ২০০ জনকে দেওয়া যাবে। আরও চারটন চাল পেলে কোনোমতে শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ করা যেতো।

উপজেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল আহাদ বুধবার রাতে বলেন, উপজেলায় প্রায় ১২০০ মতো চালক রয়েছে। এসব চালকদের বেশিরভাগই গাড়ির আয়ের ওপর নির্ভরশীল। করোনা ভাইরাসে কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে। একারণে চালকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ২০০জনকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি। কিন্তু সবাইকে দেওয়া তো একা সম্ভব নয়। এজন্য সরকারিভাবে ত্রাণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

উপজেলা ট্রাক, পিকআপ, ট্যাংক-লরি ও ট্রাক্টর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. জাবের উদ্দিন বুধবার রাতে বলেন, উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৫০০ চালক রয়েছেন। গত কয়েকদিন থেকে গাড়ি বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় অনেকে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা এসব চালকদের তাদের নিজ নিজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মহীন মানুষদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক সবধরনের পরিবহন শ্রমিকদের তালিকা তৈরি করেছি। তালিকাগুলো ইউনিয়নে ইউনিয়নে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ৮এপ্রিল ২০২০/লাভলু/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন