আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

জুড়ী নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন, তিনশ পরিবার হুমকির মুখে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৫-৩০ ১৫:২৯:৫২

জুড়ী প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের জুড়ী নদী ও এর শাখা কন্টিনালা নদীর ভাঙ্গনে প্রায় তিনশটি পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, সদ্য পুন:খননকৃত জুড়ী নদীর জাঙ্গিরাই এলাকায় বাঁধের প্রায় ২৫০মিটার এলাকা ধসে নদীতে বিলীন হয়।

অপরদিকে জুড়ী নদীর শাখা কন্টিলানা নদীর বেলাগাঁও পূর্বপার এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধের তিনটি স্থানে বিশাল আকারে ফাটল দিয়ে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। যার ফলে উভয় স্থানে প্রায় তিনশ বাড়ীঘর ঝুুঁকির মধ্যে পড়েছে।
দক্ষিণ জাঙ্গিরাই এলাকার বাসিন্দা খোশমান আলী, শিক্ষক আবুল কাশেম, জামাল মিয়া, আব্দুল কাদির প্রমুখ।

অভিযোগ করেন, এ এলাকায় মানুষের চলাচলের জন্য ইটসলিং রাস্তা ছিল। সম্প্রতি নদী খননের কাজ চলছিল। খনন কাজে মাটি কাটার গাড়ী নেয়ার জন্য ঠিকাদার পঞ্চাশ বছরের পুরণো এই রাস্তার প্রায় ৬ ফুট মাটি কেটে ফেলেন। পরে নদী থেকে পলি তুলে আবার রাস্তাটি ভরাট করেন। গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। পানির স্রোতে পলি মাটিগুলো ভেসে যায়। এতে এ এলাকার অনেক বাড়ী ঘরে ফাটল ধরেছে, প্রায় দুইশ পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। স্থানীয়রা বালু ভর্তি বস্তা ফেলে ঘর রক্ষার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার বলেন, অপরিকল্পিত ভাবে পুরণো রাস্তাটি কেটে ফেলায় বিশাল এলাকায় ধস নেমে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অপরদিকে বেলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হাবিব আলী, শফিক মিয়া, আরিফ আহমদ, আনোয়ার হোসেন, বশির মিয়া, হোসেন আলী, রশিদ মিয়া, সেনু মিয়া, আনু মিয়া প্রমুখ জানান, পানির প্রবল স্রোতে বেলাগাঁও গ্রামের পূর্বপারে কন্টিনালা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের তিনটি স্থানে বিশাল আকারে ফাটল দেখা দেয়। গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষের চলাচলের এ রাস্তাটি নদীতে বিলীন হওয়ায় স্থানীয়রা বিপাকে পড়েছেন। শতাধিক বাড়ীঘর হুমকির সম্মূখীন। নিজেরা গড় দিয়ে বাড়ীঘর রক্ষার চেষ্টা করছেন।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বনিক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার-এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো: খুরশেদ আলম ও উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান পারভেজ, জায়ফরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম রেজা ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), মৌলভীবাজার-এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো: খুরশেদ আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে নদী খনন কাজ বন্ধ ছিল। এখন নদীতে প্রচুর পানি। পানি কমার পর জাঙ্গিরাই এলাকার বাঁধ মেরামত করে দেয়া হবে।

জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বনিক বলেন, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে বেলাগাঁও গ্রামের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করি। দ্রুততম সময়ে রাস্তাটি গ্রামবাসীর চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হবে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩০ মে ২০২০/এমএএল/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন