আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

প্রতিপক্ষ ও পুলিশের বিরুদ্ধে মামলায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ

কমলগঞ্জে নির্যাতিতের সংবাদ সম্মেলন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-০১ ১৯:২৩:০৭

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে গুরুতর আহতের ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তে প্রতিপক্ষ ও পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব একাংশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পৌর এলাকার নছরতপুর গ্রামের নির্যাতিত নেওয়ারুন বেগম এ অভিযোগ করেন। তবে অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই তা অযৌক্তিক ও মিথ্যা দাবি করেছেন।

মামলার বাদি নেওয়ারুন বেগম বলেন, নছরতপুর গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুল খালেদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২১ জুন সকালে খালেদের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমার বসতবাড়িতে হামলা চালায়। তাদের দায়ের কুপে আমার স্বামীর মাথায় গুরুতর জখম ও অন্যান্যরা রক্তাত্ব হন। আমি, আমার স্বামী চনু মিয়াসহ ৫ জনকে আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুটে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় আব্দুল খালেদসহ ৫ জনকে আসামী করে গত ২৩ জুন কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেই। তবে অভিযুক্ত খালেদ কমলগঞ্জ থানার এএসআই আব্দুল হামিদ এর নিকটাত্মীয় হওয়ায় পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি। উপরন্ত প্রতিপক্ষের প্রভাবাম্বিত হয়ে মামলা আমলে নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ২৫ জুন মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে ২৩ জুন মামলা রেকর্ড দেখানো হয়। তবে এখন মামলার তদন্তে গড়িমসি ও আসামীদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ।

এক পর্যায়ে আসামীদের নিকটাত্মীয় হিসাবে পরিচিত ওই পুলিশ কর্মকর্তা মামলা আপোষ করে নেওয়ার চাপ সৃষ্টি করেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তার কারণে আসামীগণের বিরুদ্ধে কোনরূপ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন নেওয়ারুন বেগম। তিনি সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মামলার বাদীনির ভাই জিল্লুর মিয়া, স্বামী চনু মিয়া ও তার নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার এএসআই আব্দুল হামিদ বলেন, এসবের সাথে মোটেও জড়িত নই। মামলার বিষয়টি দেখেন ওসি স্যার। এখানে আমার কোন ভূমিকা রাখার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া আমি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও নই। অযৌক্তিক ও মিথ্যা একটা অভিযোগ বলে তিনি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমানের মোবাইলে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/০১ জুলাই ২০২০/জেএ/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন