কমলগঞ্জে নির্মানাধীন মন্দিরে ছাদ ঢালাই ধ্বস, নিম্নমানের কাজের অভিযোগ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর চা বাগানে নির্মাণাধীন দুর্গা মন্দিরের ছাদ ঢালাইয়ের পরদিনই ধ্বসে পড়েছে। বুধবার (১ জুলাই) রাতে বড় লাইন এলাকার দুর্গা মন্দিরের ছাদ ঢালাই শেষে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে এলজিইডির আওতাধীন ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে মন্দিরের কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, শমসেরনগর চা বাগানের বড় লাইন এলাকার দুর্গা মন্দিরের ধ্বসে পড়া ঢালাইয়ের ১৫ থেকে ২০ ফুট পরিমান অংশে মেরামত কাজ করছেন শ্রমিকরা। পুণরায় ঢালাই দেয়ার জন্য ঢালাই ভাঙ্গা হচ্ছে। ঢালাই কাজে ব্যবহৃত ইটের কংক্রিট খুবই নিম্নমানের। রডের সাইজ ছোট। নড়বড়ে সাটানিং ও নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ছাদের ঢালাই ভেঙ্গে পড়েছে বলে শ্রমিকরা জানান। সাইটে কাজ করা এক শ্রমিক জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ছাদ ঢালাই শেষ করার পর রাতে শুনতে পাই ছাদ ধ্বসে পড়েছে।  
 
শমসেরনগর চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি নিপেন্দ্র বাউরীসহ স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক জানান, স্থানীয় এমপির প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দুর্গা মন্দির নিমার্ণ হচ্ছে। তবে কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মন্দিরের কাজে অনিয়ম করছে। যার কারনে বুধবার রাতে মন্দিরের ছাদ ঢালাই শেষে হঠাৎ করে সাটারিং ভেঙ্গে ছাদ ধ্বসে পড়ে।

এলজিইডি সূত্র জানা যায়, সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো প্রকল্পের আওতাধিন মৌলভীবাজার জেলা এলজিইডি বিভাগ স্থানীয় এমপির বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে শমসেরনগর দুর্গা মন্দির নিমার্ণ কাজের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। উপজেলা এলজিউডি বিভাগের তত্ত্বাবধানে মন্দিরের কাজ শুরু হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে ঠিকাদারের সখ্যতা ও গাফলতিতে এমন কাজ হয়েছে বলে বাগানের চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ মনে করছেন।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আহমদ হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল  ইসলাম জানান, কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। সার্টানিং দুবর্লতায় ছাদের কিছু অংশ দেবে যায়।

মৌলভীবাজার এলজিইডির নির্বাহী প্রকেীশলী আজিম উদ্দীন সরদার বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। দ্রুত উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেবো ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ৩ জুলাই ২০২০/ জয়নাল/ জুনেদ

আপনার মতামত দিন