আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বড়লেখায় সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার আসামিদের খুঁজছে পুলিশ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-০৪ ২০:৩৩:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়লেখা  :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পলিথিন আটকের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দায়ের করা দুটি মামলার আসামিদের খুঁজতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

মামলার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও প্রধান আসামি সাইদুলসহ ১৫ জন পলাতক রয়েছেন।


গতকাল শুক্রবার (০১ জুলাই) রাতে মামলার প্রধান আসামি সাইদুলসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করতে সিলেটসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। আজ শনিবারও তাদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে ।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার (০১ জুলাই) রাতে প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি বিশেষ টিম ও সিলেট কোতয়ালী থানা ও সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের সহায়তায় সিলেট শহরতলির গার্ডেন টাওয়ারের ২০৬৪নং ফ্লাটে অভিযান চালানো হয়। এসময় সাইদুল ইসলামকে বাসায় পাওয়া যায়নি। সেসময় মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হয়।

এব্যাপারে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক শনিবার রাতে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। মামলার পর প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামসহ অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার রাতে মামলার প্রধান আসামী সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে পুলিশ সিলেটে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়।  এসময় তাকে পাওয়া যায়নি। সাইদুলসহ অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১ জুলাই) স্থানীয় প্রশাসন পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মজুদ করা প্রায় ৭০ মণ নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করে। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামের পারিবারিক মালিকানধীন রেলওয়ে স্টেশন রোডস্থ শাহজালাল শপিং সিটি থেকেও পলিথিন উদ্ধার করে প্রশাসন। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা শামীম আহমদকে (মামলার বাদী) সন্দেহ করছিলেন। তাদের ধারণা শামীম আহমদ পুলিশকে তথ্য দিয়ে পলিথিনগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন। এ আক্রোশে বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) সকালে শহরের উত্তর বাজার এলাকায় শামীম আহমদকে কুপিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে যায়। এতে শামীম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে থাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শামীম আহমদের উপর হামলার খবর পেয়ে তার ভাই পৌর যুবলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে গেলে বেলা ১টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে জসিম উদ্দিনসহ প্রায় ১২জন আহত হন। জসিম উদ্দিনসহ কয়েকজন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় পর পর তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শোনেছেন তারা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এছাড়া সংঘর্ষের খবরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হককে সাথে নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শামীম আহমদ বাদী হয়ে ১৮ জনের ও জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। দুটি মামলায় শাহজালাল শপিং সিটির মালিক সাইদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলার পর শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ৪ জুলাই ২০২০/ লাভলু/ জুনেদ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন