আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

বড়লেখায় সংঘর্ষ: দুই মামলার প্রধান আসামি সাইদুল কারাগারে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-০৯ ১৭:১০:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়লেখা :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পলিথিন আটকের জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দায়ের করা দুটি মামলার প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে নেওয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে বুধবার (০৮) জুলাই রাত সাড়ে নয়টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দায়ের করা দুটি মামলার প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুটি মামলায় ৩ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি হয়নি।’

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, গত বুধবার (১ জুলাই) স্থানীয় প্রশাসন পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মজুদ করা প্রায় ৭০ মণ নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার করে। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামের পারিবারিক মালিকানধীন রেলওয়ে স্টেশন রোডস্থ শাহজালাল শপিং সিটি থেকেও পলিথিন উদ্ধার করে প্রশাসন। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা শামীম আহমদকে (মামলার বাদী) সন্দেহ করছিলেন। তাদের ধারণা শামীম আহমদ পুলিশকে তথ্য দিয়ে পলিথিনগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন। এ আক্রোশে গত ০২ জুলাই সকালে শহরের উত্তর বাজার এলাকায় শামীম আহমদকে কুপিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে যায়। এতে শামীম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে থাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শামীম আহমদের উপর হামলার খবর পেয়ে তার ভাই পৌর যুবলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে গেলে বেলা ১টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে জসিম উদ্দিনসহ প্রায় ১২জন আহত হন। জসিম উদ্দিনসহ কয়েকজন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় পর পর তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শোনেছেন তারা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শামীম আহমদ বাদী হয়ে ১৮ জনের ও জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নামোল্লেখ করে থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। দুটি মামলায় শাহজালাল শপিং সিটির মালিক সাইদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলার পরই পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে সাইদুল ইসলাম পলাতক ছিলেন।  তাঁকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়।

বুধবার (০৮) জুলাই পুলিশ খবর পায় আসামি সাইদুল ইসলাম হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় অবস্থান করেছেন।

খবর পেয়ে বুধবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) গোলাম দস্তগির ও বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।

মামলার অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক ।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৯ জুলাই ২০২০/এজেএল/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন