আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কমলগঞ্জে চুরির অপরাধে দুই শিশুকে বেঁধে নির্যাতন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-১০ ১৮:৪৯:৫৪

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়নে মোবাইল চুরির অপরাধে দুই শিশুকে অমানষিক নির্যাতন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ জুলাই) কুরমা চা বাগানে অফিসের সামনে খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে সকাল ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত শিশু দুটিকে বেধড়ক পিঠানো হয়েছে।

পরে অভিবাবকদের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে বিকাল ৩টায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কমলগঞ্জ সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী ও নির্যাতিতদের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে চা বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্ডার মামুন ছেলে তুলে মুন্না পাশি (১২) ও জগৎ নুনিয়া (১৩) নামে দুই শিশুকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে খুঁটির সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে।

পরে চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশিসহ কয়েকজন মিলে বাগান ঘরে নিয়ে বেধড়ক পিঠানো হয়। পরে তাদের ২ জনকে কুরমা চা বাগান ফ্যাক্টরির সামনে খুঁটির সাথে সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে হাত পিছনে নিয়ে বেঁধে রাখে।

শিশু মুন্নার মা জানান, ইউপি সদস্য দীপেন সাহা সামনে থেকে তাদের পিটিয়েছেন। সাথে ছিল চা বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি নারদ পাশি, সাদেকসহ অনেকে। ছেলেদের অভিবাবকদের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে বিকাল ৪টায় মুন্না ও জগৎকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

নির্যাতিত মুন্নার মা আরো জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করবেন।
   
স্থানীয় ইউপি সদস্য দীপেন সাহা বলেন, ছেলেদের বেঁধে রাখা হয়েছিল। তবে নির্যাতন করা হয়নি, কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দেয়া হয়েছে। ম্যানেজারের কথায় তিনি প্রথমে ছাড়তে পারেননি। পরে বিকাল ৩টার পর অভিবাবকদের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, মোবাইল চুরির জন্য তাদের আটকানো হয়েছিল, তবে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ জুলাই ২০২০/জেএ/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন