Sylhet View 24 PRINT

মৌলভীবাজারে হাত-পা ভেঙে জিহ্বা কেটে নির্যাতন, বৃদ্ধের মৃত্যু

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-১৬ ১০:৫৪:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতনে গুরুতর আহত বৃদ্ধ আমির উদ্দিন (৬৫) সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মারা গেছেন।

হাত-পা ভেঙে, দুই কানে ছিদ্র ও জিহ্বা কেটে নির্যাতনের ঘটনায় আহত আমির উদ্দিনের মেয়ে জেনেফা বেগম জেবা ৭ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। তবে আসামিরা গা-ঢাকা দেয়ায় পুলিশ একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি।

জানা গেছে, ৮ সেপ্টেম্বর রাতে বাহাদুরপুর ইউপির বাউরিলখাল এলাকায় অস্থায়ী বসতঘরে আমির উদ্দিন ও তার স্ত্রী বিলকিছ বেগমের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় স্থানীয় এবাদ আহমদ বাপ্পী (২৬), আছার উদ্দিন (৪৫), রাজু আহমদ (২২), হোসেন (৩৫), আবদুস শুকুর (৩০), দুদু মিয়া (৪০), আবদুল্লাহ (২৫)। তারা বিলকিছ বেগম ও আমির উদ্দিনকে বাউরিলখালে পিটিয়ে আহত করে।

বিলকিছ বেগম চিৎকার করলে তার চুল কেটে রাস্তায় ফেলে রেখে আমির উদ্দিনকে পাশের সাধুর কালীবাড়ি টিলায় নিয়ে উপর্যুপরি আঘাত তার দুই পা, দুই হাত, কোমর ভেঙে দেয়। মাথার একপাশ দিয়ে শিকল ঢুকিয়ে আরেক পাশ দিয়ে বের করে, জিহ্বার এক ইঞ্চি পরিমাণ কেটে ফেলে। দুই কানের ভেতরে ছিদ্র করে, ঘাড় ভেঙে দেয়।

পরে সন্ত্রাসীরা মৃত ভেবে আমির উদ্দিনকে ফেলে যায়। ভোরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

ঘটনার দুই দিন পর আহত আমির উদ্দিনের মেয়ে জেনেফা বেগম জেবা ৭ সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। জেনেফা বেগম জেবা জানান, তার পিতার শরীরের এমন কোনো অঙ্গ বাদ যায়নি যেখান সন্ত্রাসীরা ভাঙেনি। হাত-পা, কোমর ভেঙে জিহ্বা কেটে ফেলে। মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা গেছেন।

থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সিলেট ভিউ ২৪ ডটকম/ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০/পিটি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.