আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাড়ছে পণ্যদ্রব্যের দাম। দু’মাস যাবত প্রায় সকল পণ্যের দাম বাড়ায় চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। তবে প্রশাসনের মনিটরিং কম থাকায় বাজারে পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে বলে ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ রয়েছে। শমশেরনগর ও ভানুগাছ বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার প্রধান হাটবাজার শমশেরনগর ও ভানুগাছে মোটা সিদ্ধ চাল কেজি প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা, চিকন চাল কেজি প্রতি ৫ টাকা এবং অন্যান্য সকল চালের দামেও কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা হারে বেড়েছে। পেঁয়াজ ৪০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে কেজি প্রতি ৮০ টাকা, রসুন ৬৫ থেকে ৮৫ টাকা, চিকন মসুর ডাল ৯৫ টাকা থেকে ১২০ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, মটর ৩২ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, আলু ২৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা, সোয়াবিল তেল বোতলজাত প্রতি লিটার ৯৭ টাকা থেকে ১০৩ টাকা, শুকনা মরিচ ১৯৫ থেকে ২৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৭০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সকল প্রকার শাক-সবজির দামও প্রায় দ্বিগুণ।
এভাবে পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়লেও মানুষের আয় রোজগার বাড়ছে না। কয়েক মাস যাবত করোনা সংক্রমণের ফলে অনেকেই কাজকর্ম হারিয়ে বেকার দিনযাপন করছেন। অন্যদিকে সীমিত আয় দিয়ে বর্তমান সময়ে সংসার পরিচালনা খুবই কঠিন বলে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
শমশেরনগরের ভিডিও ক্যামেরাম্যান রুমেল আহমদ বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটি ও বিয়ে অনুষ্ঠানাদি বন্ধ হয়ে পড়ায় গত কয়েক মাস যাবত কোন আয় রোজগার নেই। দোকান বাকি ও ধারদেনা করে দিন কাটছি। তার উপর জিনিসপত্রের যে দাম তা দিয়ে কিভাবে সংসার চালাই ভেবে পাচ্ছি না। দিনমজুর আজিম মিয়া, সিএনজি-অটোরিক্সা চালক বিল্লাল হোসেন বলেন, করোনা আসার পর থেকে রোজগার কমে গেছে। এখন আবার সকল নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। তাতে আমাদের যে আয় তা দিয়ে পরিবার চালানোও খুবই কঠিন।
শমশেরনগর বাজারের মোদি ব্যবসায়ী আব্দুল কাইয়ুম ও সহিদুল ইসলাম বলেন, ধানের দাম বেশি থাকায় মিলাররা চালের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের দাম গত দু’মাস ধরেই বেড়ে চলেছে। শ্রীমঙ্গল পাইকারী বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও বেড়েছে।
শমশেরনগরের টিসিবি’র ডিলার মুহিবুর রহমান জয়নাল বলেন, মাসে একদিন টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করা হয়। তাছাড়া এসব পণ্য প্যাকেজ ভিত্তিতে বিক্রি করতে হয়।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয়। তবে পুজা থাকার কারণে কয়েকদিন যাবত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা যায়নি। দু’একদিনের মধ্যেই বাজার মনিটরিং করা হবে বলে তিনি জানান।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২৫ অক্টোবর ২০২০/জয়নাল/জুনেদ